অনলাইন
ডিসিকে ‘স্যার’ ডাকতে বাধ্য করার ঘটনায় বেরোবি শিক্ষক সমিতির নিন্দা
বেরোবি প্রতিনিধি
(২ মাস আগে) ২৪ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১২:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুককে জনসমক্ষে রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন ‘স্যার’ সম্বোধন করাতে বাধ্য করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাত নয়টায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রতিবাদ বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, ‘উমর ফারুককে জনসমক্ষে রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন 'স্যার' সম্বোধন করাতে বাধ্য করার ঘটনায় বেরোবি শিক্ষক সমাজ অত্যন্ত ব্যথিত, বিব্রত ও ক্ষুব্ধ। বেরোবি শিক্ষক সমিতি শিক্ষক উমর ফারুকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
শিক্ষক নেতারা আরো বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি মনে করে, একটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সুশাসন নিশ্চিতকরণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়া ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জেলা প্রশাসকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষক সমিতি একজন জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে।’
প্রসঙ্গত, গত ২২শে মার্চ সন্ধ্যায় একটি স্কুলের বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন-এর সাথে দেখা করতে যান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক। এসময় জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনকে ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান ড. চিত্রলেখা নাজনীন এবং চাপ প্রয়োগ করেন।
এর প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের গেটে প্ল্যাকর্ড নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে প্রতিবাদে শিক্ষক উমর ফারুকের সঙ্গে সংহতি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন এরকম আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলে বিষয়টি সমঝোতা হয়।
পাঠকের মতামত
Let's start calling the public servants " Your Excellency or My Lord". These public servants are our masters whose salary comes from our hard-earned tax. Joy Bangla!
My advice is to all DC like officers in Bangladesh is, please change your attitude, Please be mindful that your source of salary coming from our hard working public, which include a Rikshawalla, daily labourer, a beggar and so on, in return you people give them service, you are the servent of the people. It is really sad to see the way you people behave. Sourcing money from the people when government send you overseas next time to learn, please learn in developed countries how officer like you treat the public and also how public address them. To change the country you people has to change yourself first.
স্যার বলে সম্বোধন করা নিয়ে কিছু দিন আগেও আরেকটি ঘটনা ঘটে কিন্তু কিছু ছোট লোক অফিসার স্যার বলা নিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে দূর ব্যবহার করছে। স্যার না বললে কি হয় আমার মনে হয় নাম বলে ডাকাই ভালো এতে কারো অপমানের কিছু নয়। সরকারের এই স্যার ডাকা নীতি বন্ধ করা এবং নাম ধরে ডাকার নীতিমালা কার্যকর করা।
Respect must be earned, not in the barrel of gun. What is wrong with this league country? This kind of Pharaoh like attitude will destroy the country.
শিক্ষক সমিতির বিবৃতির ভাষা পড়ে বুঝেছি ওদের ডিসির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে দুহাত একসাথে করে স্যার ডাকা উচিৎ। এই চেতনা সৈনিক শিক্ষকরা ছাত্রলীগের পদ লেহন করে চাকরি পেয়েছে।তাই নিজের মর্যাদাবোধ হারিয়েছে। ভিসির বিরুদ্ধে বলার চলে তোতাপাখির মতো স্মার্ট বাংলাদেশ জপা শুরু করেছে। নির্লজ্জ!!
মহিলারা ক্ষমতা পেয়ে ধরাকে স্বরা মনে করছে। আজই দেখলাম এক মহিলা বিচারক এক ছাত্রীর মা কে জনসম্মুখে পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করেছে। অবশ্য সরকার তার বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে দেখা যাক এটার কি হয় ?
জনগণের বেতনভূক্ত কর্মচারী তার মালিকে স্যার না বলে জনগণ তার বেতনভূক্ত কর্মচারীকে স্যার বলা বা বলতে বাধ্য করা সত্যি হতভাগ করা বিষয়। অন্যায়,অত্যাচার,নিপিড়ণ, জুলুম নামক বৃটিশ বিতাড়িত হলেও তাদের রেখে যাওয়া কালাকানুনকে আমরা বিদায় দিতে পারিনি। অতএব সময় এসেছে বৃটিশ কালাকানুনকেও বিতাড়িত করার।
এই দুনিয়ায় আবেগের কোন মুল্য নেই।এইসব মুড়িভাজা মারকা কথা না বলে কাকে কি বলে সম্বোধন করতে হবে তা সার্ভিস রুল / বিহেভিয়ার রুল ঠিক করে দিলেই হয়। Sir মানে মহাশয়, জনাব, হজরত, মুহতারাম অনেক নামেই ডাকা যায়। এখন কেউ যদি না বুঝে কথা বলে, তাহলে কিছু বলার নেই। তবে সম্মানিত মানুষকে সম্মান দিলে কেউ ছোট হয় না। আমাদের মহানবী ( দ) কে কেউ কোনদিন আগে সালাম দিতে পারে নাই, সে তার বয়সে ছোট বা বড় হোক।
SIRমানে slave I remain .যেটা ব্রিটিশরা শিখিয়েছে। দাস প্রথা এই উপমহাদেশে ছিল না। তাই অত্যন্ত নিখুঁতভাবে এই জিনিস শিখিয়েছে।
সরকারি কোন কর্মকর্তাদের আর স্যার ডাকা যাবে না। কেনো ডাকবো? সংসদের উচিত এ বিষয়টি ফয়সালা করে দেয়া। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কোথায় আমাদের স্বাধীনতা।
কোন সরকারি চাকর স্যার নয়, চাকর। এই অনুভূতি যতদিন সরকারি কর্মচারীদের না আসবে ততদিন তাদের দায়িত্ব জ্ঞান হবে না । তারা জনগণের বেতনভুক চাকর এটাই সত্য।
স্যার'তো জনগণকেই ডাকবে। ডিসি, ওসি, ইত্যাদি যত রকমের পদবীর সেবক আছে, সেবককে কেউ কখনও স্যার ডাকে নাকি। হ্যাঁ জগণন পদবী ধরে ডাকতে পারে যেমন অফিসার, ডক্টর, মেজর, কর্ণেল ইত্যাদি। উন্নত দেশগুলোতো সে ভাবে ডাকে যেমন মি: মিনিষ্টার, মি: প্রেসিডেন্ট ইত্যাদি। আমার মেয়ে যে ইস্কুলে পড়তো সে ইস্কুলের শিক্ষকদের কে টিচার বলে ডাকতো। এ গুলো হচ্ছে দৃষ্টি ভংগির ব্যপার। স্যার শব্দের আভিধানিক অর্থ মহাশয়, জনাব ইত্যাদি এখন কোন ডিসিকে কেউ যদি মহাশয় জনাব বলে উনি কি খুশী হতেন? আরও উল্টো রেগে লাল হয়ে যেতেন। বিটিভিতে একবার একটা নাটক দেখেছিলাম হুমায়ুন আহমেদের সেখানে দেখানো হচ্ছিল হুমায়ন ফরিদী একজন রিটায়ার শিক্ষক ঢাকা গিয়েছেন সরকারি অফিসে পেনশনের ফাইলটা যাতে ক্লিয়ার হয় এক কেরানীর টেবিলে শিক্ষক মহাশয় জনাব বলে সম্বোধন করছিলেন আর কেরানী সাহেব বিরক্ত বোধ করছিলেন স্যার না বলাতে যে কারণে ফাইটাও সরছিলোনা। এই হচ্ছে আমাদের দেশের চিত্র। বৃটিশরা যা শিখিয়েছে তার মধ্যে ভালো মন্দ দুটো দিকই আছে আমরা মন্দ দিকটাকেই বেশী ধরে রাখি। সম্মান থাকবে অন্তরে মুখে নয়। আমাদের সবার যার যার সম্মান তাকে সে ভাবেই দেওয়া উচিৎ।
আমাদের সবাইকে সহনশীল হওয়া দরকার