শেষের পাতা
মানবজমিনে সংবাদ প্রকাশের পর জামিন পেলেন রিগ্যান
স্টাফ রিপোর্টার
২২ মার্চ ২০২৩, বুধবারমানবজমিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর শাহবাগ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় জামিন পেলেন সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত সদস্য এডভোকেট সালাউদ্দিন রিগ্যান। গতকাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার এ জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে তার পক্ষে জামিন আবেদন করেন এডভোকেট তাহেরা খাতুন, ফারজানা ইয়াসমিনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। পরে তাহেরা খাতুন মানবজমিনকে বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় রিগ্যানের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। রিগ্যানকে নিয়ে মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে তার জামিনের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরি। এ সময় আদালতকে রিগ্যানের আইনজীবী বলেন, রিগ্যান সুপ্রিম কোর্ট বার ও ঢাকা বারের একজন নিয়মিত সদস্য। তিনি জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলএম প্রোগ্রামের ব্যাংকিং ল’ অ্যান্ড কর্পোরেট পলিসি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী। আগামী ২৪শে মার্চ তার দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
গতকাল এডভোকেট রিগ্যান কি পরীক্ষার হলে বসতে পারবেন? এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবজমিন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট সালাউদ্দিন রিগ্যান। জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলএম প্রোগ্রামের ব্যাংকিং ল’ অ্যান্ড কর্পোরেট পলিসি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী। আগামী ২৪শে মার্চ তার দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু। কিন্তু সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে সংঘটিত ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে আইনজীবী সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসানের দায়ের করা মামলায় তাকে আসামি করা হয়। মামলায় সমিতির নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছিনতাই, হট্টগোলের অভিযোগ করা হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর দোয়েল চত্বর থেকে ডিবি পুলিশ রিগ্যানকে আটক করে। এডভোকেট সালাউদ্দিন রিগ্যানের স্ত্রী এডভোকেট তাহেরা খাতুন মানবজমিনকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রিগ্যান দেশের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে সমালোচনা করে লেখালেখি করেন। যে কারণে তাকে অনেকে সরকার বিরোধী মনে করে। সে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে লক্ষীপুর-২ আসনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে এমপি পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থেকেও তাকে উপর মহলের নির্দেশে এই মামলায় আসামি করা হয়। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞা জানাই মানবজমিনকে সত্য তুলে ধরার জন্য। রিগ্যানের জামিনের জন্য প্রতিবেদনটি বেশ কাজে দিয়েছে।
গত ১৫ই মার্চ সুপ্রিম কোর্টে ভাঙচুরের ঘটনায় রিগ্যানের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট বারের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান একটি মামলা করেন। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর দোয়েল চত্বর থেকে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। পরদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ রিগ্যানকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত প্রথমে তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলেও পরে আদেশ রিকল করে রিমান্ড বাতিল করে আদেশ দেন। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
এ ছাড়া, গত ১৬ই মার্চ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাদী হয়ে এডভোকেট সালাহউদ্দিন রিগ্যানসহ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ৩৫০ আইনজীবীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানা পুলিশ মামলা করে। এতে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।