বাংলারজমিন
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ ঔষধ বিতরণ
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার
শিশু রোগীর নাম আবু তালহা। বয়স মাত্র ৮ মাস ১৩ দিন। পিতার নাম মো. সফিকুল ইসলাম। বাড়ি নওমালা গ্রামে। গত ৩ দিন ধরে ঠাণ্ডা, জ্বর ও কাশিতে ভুগছিল শিশুটি। তার সঙ্গে গতকাল সকাল থেকে শুরু হয়েছে বমি। অবস্থার অবনতি হলে শিশুটির বাবা শফিকুল ইসলাম ও মা নুসরাত জাহান চিকিৎসার জন্য তাকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। নিয়ম মতো সরকারিভাবে টিকিট কেটে ডাক্তার আখতারুজ্জামানকে দেখান তারা। তিনি সরকারি স্লিপে ৩টি ওষুধের নাম লিখে দেন। ওই স্লিপ নিয়ে ওষুধ বিতরণকেন্দ্রে গেলে সেখানে দায়িত্বে থাকা ফার্মাসিস্ট মোসা. খাদিজা বেগম তাকে স্লিপে লেখা ওষুধগুলো প্রদান করেন। যা ছিল মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ নিয়ে স্থানীয় ও সেবা নিতে আসা রোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শিশুটির বাবা সফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে তালহা ৩ দিন ধরে অসুস্থ। গতকাল সকালে তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। চিকিৎসক আকতারুজ্জামান তার ব্যবস্থাপত্রে ৩টি সিরাপের নাম লিখে দেন। ওই সিরাপ ৩টি আমাকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ বিতরণকেন্দ্র থেকে দেয়া হয়েছে। পরে ওষুধ খাওয়ার নিয়মাবলী জানার জন্য আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকার একটি ওষুধের দোকানে যাই। তখন ওই দোকানি দেখেন ওষুধগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ। প্যারাসিটামল ও সালবুটামল সিরাপটির বোতলের গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ২০২২ সালের জানুয়ারি লেখা ছিল। আর ক্লোরোফিনামিল সিরাপের বোতলের গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ২০২৩ সালের জানুয়ারি লেখা ছিল। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিতরণের কথা স্বীকার করে ফার্মাসিস্ট খাদিজা বেগম বলেন, গত বছর ডিসেম্বর মাসে ৩ বক্স ওষুধ এসেছে। যার মধ্যে এ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে। ওষুধ বিতরণের সময় দেখেশুনে দেয়া উচিত ছিল। ভুলে এমন ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আখতারুজ্জামান বলেন, ওষুধ বিতরণকারী মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিতরণ করেছে কিনা জানি না। যদি করে থাকে তাহলে অপরাধ করেছে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।