শেষের পাতা
ইবি ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ২০ দিনেও উদ্ধার হয়নি ভিডিও
ইবি প্রতিনিধি
২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার
গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন ছাত্রী ফুলপরি খাতুনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। সেই ভিডিও চারুকলা বিভাগের ছাত্রী হালিমা খাতুন ঊর্মির মোবাইলে ধারণ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন এমন তথ্যই উঠে এসেছে। মোবাইল ও ভিডিও উদ্ধার করতে গত ১লা মার্চ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তবে নির্দেশনার ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও মোবাইল উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার ফুলপরি খাতুন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে তিনটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ ও শাখা ছাত্রলীগ। এ ছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। তদন্ত প্রতিবেদনে নির্যাতনের সত্যতার প্রমাণ মিলে। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করারও প্রমাণ পাওয়া যায়। ফলে ১লা মার্চ জড়িত পাঁচ ছাত্রীকে বহিষ্কার, ভুক্তভোগীকে তার পছন্দমতো সিট বরাদ্দ দেয়া, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার ও ভিডিও ধারণ করা মোবাইল উদ্ধারসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।
ক্যাম্পাস সূত্র জানিয়েছে, ঊর্মি ‘অপ্পো সি-ওয়ান’ মডেলের একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করতেন। ওই ফোনেই ভিডিও ধারণ করা হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকে আর সেই ফোন ব্যবহার করছেন না অভিযুক্ত ঊর্মি। গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি ডায়না চত্বরে অনুষ্ঠানে স্টেজ পারফরম্যান্স করার সময় ফোনটি হারিয়ে গেছে বলে জানায় ঊর্মি। তবে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেননি। ভুক্তভোগী ফুলপরি খাতুন বলেন, ঘটনার এতদিনেও কর্তৃপক্ষ ভিডিও উদ্ধার করতে পারেনি। ভিডিওটি ভাইরাল হলে আমার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আমি চাই ভিডিওটি যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার করে নষ্ট করে ফেলা হোক।
বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনার পর মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য ইবি থানা বরাবর আবেদন দেয়া হয়েছিল। পরে থানা থেকে ওই সংক্রান্ত বেশকিছু তথ্য চাওয়া হয়। পরে তথ্যগুলো সংগ্রহ করে থানায় পাঠানো হয়। কতোটুকু অগ্রগতি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অগ্রগতি হলে তো জানানো হবে।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, চিঠি হাতে পেয়েই আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের আইটি টিম কাজ করছে। ফোনটি উদ্ধার হলেই জানানো হবে।