ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেষের পাতা

বঙ্গবন্ধু’র জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপিত

স্টাফ রিপোর্টার
১৮ মার্চ ২০২৩, শনিবার
mzamin

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গতকাল স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপিত হয়েছে। দিনটিকে দেশব্যাপী ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে উদ্‌যাপন করা হয়। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই  নেতা ১৯২০ সালের এদিন গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু’র জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল ভোর ৬টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু  হয়। অন্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল, জাতির পিতার সমাধি ও প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কেক কাটা, মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত, প্রার্থনা, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, পুরস্কার বিতরণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ইত্যাদি। দিবসটি উপলক্ষে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু’র স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময়ে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এ উপলক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এর পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী  লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন
এরপর বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এরপর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু’র সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড-অব-অনার প্রদান করে। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু’র মাজারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। রাষ্ট্রপতির পত্নী রাশিদা খানম তার পুত্র রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক এমপি এবং প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধু’র প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বঙ্গবন্ধু’র জন্মদিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু’র জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সারা দেশের সকল সরকারি হাসপাতাল রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা, কোরআনখানি, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিস্টান সমপ্রদায়, সন্ধ্যা ৬টায় মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতির পিতার আদর্শে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়বো: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার আদর্শ আছে। সেই আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। বানাবো আগামী দিনের বাংলাদেশ, স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ। গতকাল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনটাকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তার ভেতরে যে মানসিকতা ছিল, মানুষের প্রতি দরদ ছিল, এটা ছোটবেলা থেকেই প্রকাশ পেয়েছিল। স্কুলে যখন পড়তেন তখন যার বই নেই তাকে নিজের বই দিয়ে দিতেন। গায়ের জামা কাপড় দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধানও মানুষকে বিলিয়ে দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকে এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করেছিলেন আমার দাদা-দাদি। বড় হয়ে যারা শোষিত ও বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেতো না, যাদের কোনো পুষ্টি ছিল না, রোগের চিকিৎসা করার সামর্থ্য ছিল না, ঘরবাড়ি ছিল না সেই সব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে তিনি সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আজ আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি, বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি। সেই ৪৮ সাল থেকেই এই আন্দোলন তিনি শুরু করেছিলেন। তারই নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়। কাজেই জাতির পিতার এই জন্মদিনকে আমরা শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি। অক্ষম ও প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্ধকে অন্ধ বলিও না, পঙ্গুকে পঙ্গু বলিও না- এটা হোক ছোটবেলার শিক্ষা। কাজেই তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। আমরা কিন্তু প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেই, বৃত্তিও দিয়ে থাকি। কাজেই সবাই এই সংসারের, সবাই এই সমাজের। বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের প্রতি তার অত্যন্ত দরদ ছিল। শিশুদের সঙ্গে খেলা করতেও তিনি পছন্দ করতেন। কাজেই জাতির পিতার এই জন্মদিনটিকে আমরা শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি। শিশুরা আমাদের আগামীর ভবিষ্যৎ, তারা যেন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আজকের শিশুরাই স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জনগোষ্ঠী হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই, আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই, আজকের শিশুরাই তো হবে সেই স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জনগোষ্ঠী। যারা এই দেশটাকে গড়ে তুলবে। এবারের শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য চমৎকার হয়েছে বলে জানিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে ও শিশু দিবসের এই প্রতিপাদ্য হলো- ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধু’র জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’। আমি মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই এরকম একটা সত্যিকার উপযোগী প্রতিপাদ্য গ্রহণ করার জন্য। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের সামনে আয়োজিত শিশু সমাবেশে যোগ দেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার তুলে দেন। এ ছাড়া গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। বক্তব্য শেষে শিশু প্রতিনিধির বক্তব্য, বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, কাব্য নৃত্যগীতি আলেখ্যানুষ্ঠান উপভোগ করেন। এরপর তিনি শিশু দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করেন। 

সেনানিবাসে বঙ্গবন্ধু’র জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপন
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে একযোগে ঢাকাসহ দেশের সকল সেনানিবাস ও বৈদেশিক মিশনে অবস্থানরত কন্টিনজেন্টসমূহে উদ্‌যাপন করা হয়। দিবসটি উদ্‌যাপনে সেনাবাহিনীর সকল স্তরের সামরিক এবং অসামরিক ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহণে বিবিধ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আইএসপিআর জানিয়েছে, দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে ঢাকাসহ সকল সেনানিবাসের প্রতিটি প্রবেশ পথ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ সুসজ্জিত করা হয়। ঢাকাসহ সকল সেনানিবাস এবং বৈদেশিক মিশনে অবস্থানরত কন্টিনজেন্টসমূহে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনীর ওপর আলোচনা অনুষ্ঠান, ৭ই মার্চের ভিডিও চিত্র এবং পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়। এ সময় ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান। এ দিনে জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সেনানিবাসসমূহের সকল মসজিদে বাদ জুমা বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার, জেসিও, অন্য পদবির সেনাসদস্য এবং অসামরিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সেইসঙ্গে সেনাবাহিনী পরিচালিত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতির পিতার জীবনীর ওপর আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সাহেরা খাতুনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। দিনটি ১৯৯৭ সাল হতে সারা দেশে জাতীয় শিশু-কিশোর দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

 

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status