কলকাতা কথকতা
মমতার কালীঘাটের বাড়িতে তৃণমূলের বৈঠকে থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(২ বছর আগে) ১৭ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৭:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:০৫ অপরাহ্ন

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় এর কালীঘাটের বাড়িতে শুক্রবার বিকেলে বসেছিল চাঁদের হাট। কে ছিলেন না? তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা সবাই ছিলেন, ছিলেন দলের বিধায়করা, সাংসদরা। উদ্দেশ্য ছিল পঞ্চায়েত ভোটের রূপরেখা তৈরি। মনে করা হয়েছিল যে এই বৈঠকে তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে মমতা কড়া অবস্থান নেবেন। হয়ত দুর্নীতিবাজদের দল থেকে বহিস্কার করবেন। কিন্তু বাস্তবে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ও মমতা বন্দোপাধ্যায় দুর্নীতির বিষয় টিকে ছুঁয়ে গেলেও বহবারম্ভে লঘুক্রিয়া ছাড়া কিছু হয়নি। অভিষেক ও মমতা উপস্থিত শীর্ষ নেতাদের বলেন, সাগরদীঘি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। পঞ্চায়েতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্যে তৃণমূলকে মাটি কামড়ে লড়তে হবে। বৈঠকের শেষে সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় জানান মমতা পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় মাসে তিনদিন করে যাবেন। সময় দেবেন। জেলার দিকে নজর দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট জিততে হবে। এদিন মমতা বেশ কিছু নেতাকে দায়িত্ব দেন পঞ্চায়েত এ বিভিন্ন জেলার। সেই পুরোনো মুখগুলোকেই আবার দায়িত্ব পেতে দেখা যায়। সেই ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, তাপস রায়দের। মমতা এদিন পাহাড়প্রমান দুর্নীতির দায় দিয়ে কাউকে বের করেননি দল থেকে। না পার্থ চট্টোপাধ্যায়, না অনুব্রত মন্ডল সম্পর্কে কোনও ব্যবস্থা নেননি মমতা। শুধু, জেলার দিকে ফোকাস রেখে মমতা এদিনের বৈঠক শেষ করলেন। বললেন, পঞ্চায়েতে সংকল্প নিয়ে লড়তে হবে। অর্থাৎ সেই ডাল বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়! এর বেশি কিছু নয়। মুসলিম ভোট নিয়ে মমতার উদ্বেগ থাকলেও তার প্রকাশ তিনি ঘটাননি।