কলকাতা কথকতা
বারবার বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তার অভিযোগ, একাধিক প্রশ্নের জবাব চাইলো কলকাতা হাইকোর্ট
সেবন্তী ভট্টচার্য্য , কলকাতা প্রতিনিধি
(১৮ ঘন্টা আগে) ১০ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:৩৪ অপরাহ্ন
ভিনরাজ্যে বারবার বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। ওড়িশায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এই সংক্রান্ত মামলায় একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলো আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, কেন বাংলার (পশ্চিমবঙ্গ) পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকে রাখা হয়েছে? কিসের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে? কোনও এফআইআর দায়ের হয়েছে কি? আটক করার পরে ওই পরিযায়ীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে? এখন তারা কোথায় রয়েছেন? রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে হাইকোর্টের নির্দেশ, আদালতের এই প্রশ্নগুলো ওড়িশার মুখ্যসচিবকে পাঠাতে হবে। তার জবাব দেখে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। গত কয়েকমাস ধরেই বাংলার(পশ্চিমবঙ্গ) পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন রাজ্যে অত্যাচারিত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। কখনও মারধর, কখনও তাদের উপর হামলা, লুটপাট, উপার্জন কেড়ে নেয়া, কখনও আবার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেয়ার মতো অভিযোগ শোনা গেছে। এনিয়ে অভিযোগ জানালে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না বলেও তারা অভিযোগ করেছেন। এসব খবর কানে পৌঁছতেই অবশ্য রাজ্যের তরফে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য গঠিত কমিটির তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম তড়িঘড়ি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাজ্যে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছেন। বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে ইতিমধ্যে অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ তৈরি করেন দুই সাংসদ – ইউসুফ পাঠান ও সামিরুল ইসলাম। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, “ওড়িশা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের কথা বললেই মারধর করা হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। আমাদের এখানেও কিন্তু দেড় কোটি পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করেন। তারা বিভিন্ন রাজ্যের, বিভিন্ন ধর্মের। আপনারা অত্যাচার করেন। আমরা করি না। এটাই আমাদের আর আপনাদের মধ্যে তফাৎ। তাই বলছি, হিংসার তাস তুলে দেবেন না কারও হাতে।'