কলকাতা কথকতা
নাবালক ছেলের রহস্যমৃত্যু!
বাড়িতে ফ্রিজার বানিয়ে তাতেই তিনদিন দেহ রাখলেন মা-বাবা
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য , কলকাতা থেকে
(১০ ঘন্টা আগে) ৬ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার মানিকচকে ঘটে গেলো হাড় হিম করা কাণ্ড। ৩ দিন ফ্রিজারে ছেলের মৃতদেহ রেখে পাশে শুয়ে রইলেন বাবা-মা! মৃত নাবালকের নাম শ্রীকান্ত মণ্ডল। সে মালদহের মানিকচক ব্লকের ভূতনিচরের হীরানন্দপুরের কেদারটোলার বাসিন্দা। একটি বেসরকারি আবাসিক হোস্টলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে । দিন কয়েক আগে হোস্টেলেই তার রহস্যমৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে ছেলের। দেহের ময়নাতদন্ত হলেও সৎকার না করে বাড়িতেই সংরক্ষণ করে রাখেন নাবালকের বাবা-মা। বরফ জড়িয়ে বাক্সবন্দি করা হয়েছে দেহ। বুধবার রাতে বেসরকারি আবাসিক স্কুলের হস্টেলেই মিলেছিল ১৩ বছরের শ্রীকান্তের ঝুলন্ত দেহ। যে ঘরে একসঙ্গে অন্তত ৪০ জন ছাত্র থাকে, সেই ঘরেই থাকত অষ্টম শ্রেণির ওই আবাসিক ছাত্র। তিন বছর ধরে সে ওই স্কুলে পড়ত। হোস্টেলে থাকত। হোস্টেলের ঘরেই তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকেই পরিবারের অভিযোগ আত্মহত্যা নয়, স্কুল কর্তৃপক্ষের অত্যাচারেই তাদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ওই স্কুলের এক শিক্ষিকা লক্ষ্মীরানি সরকার পুলিশকে জানিয়েছেন, সেই রাতে চিৎকার চেচামেচির জন্য শ্রীকান্তকে বকাঝকা করা হলেও কোনওভাবেই মারধর করা হয়নি। এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের অত্যাচারেই মৃত্যুর হয়েছে অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত ছেলের মনে করছেন মৃতের বাবা প্রেমকুমার মণ্ডল এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। দাবি করেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এবং দোষীকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত দেহ সৎকার্য করা হবে না। তাদের দাবি, অবিলম্বে সেই বেসরকারি স্কুলের মালিক তথা প্রধান শিক্ষক সাজির হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ঘটনার পর তিনদিন পেরিয়ে গিয়েছে। তারপরেও পুলিশ অভিযুক্ত স্কুল প্রধানকে গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ। দেহ সংরক্ষণের কারণ হিসাবে তারা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোনও রকম গাফিলতি হলে আবার ময়নাতদন্ত করতে হবে। তাই দেহ সংরক্ষণ করে রেখেছেন তারা।