কলকাতা কথকতা
ডিএ নিয়ে কর্মবিরতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(২ বছর আগে) ১০ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৪:২৩ অপরাহ্ন
আগুন ছিল, ছিল প্ররোচনাও। কিন্তু ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের কর্মবিরতিতে দাবানলের সৃষ্টি হলো না। সারা বাংলায় সরকারি দপ্তরগুলিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিজেপি -বাম - কংগ্রেস ইউনিয়নের সদস্য কর্মীরা অফিস আসেন, সইও করেন। কিন্তু, কোনও কাজ করেননি। কাজ করেছেন তৃণমূল ইউনিয়নের কর্মীরা। রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতেও একই অবস্থা দেখা যায়। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, ডিএ পাওয়ার জন্য যারা ছটফট করছেন, তাদের উচিত চাকরি ছেড়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে যোগ দেয়া।
আমি অনুরোধ করছি, সেই কর্মীরা যারা রাজ্য সরকারের দেয়া ডিএতে সন্তুষ্ট না হয়ে আন্দোলন করছেন, দয়া করে আপনারা চাকরি ছেড়ে দিন।
কড়া প্রতিক্রিয়া জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, সরকারি কর্মীরা কেন চাকরি ছাড়বেন? ফিরহাদ হাকিমের উচিত তার মন্ত্রীপদ ছেড়ে চলে যাওয়া। ডিএ দিতে পারছেন না, আবার বড় বড় কথা বলছেন। অপদার্থতার জন্য আপনি আপনার পদ ছাড়ুন। কর্মীদের ন্যায্য পাওনা নিয়ে কথা বলবেন না।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, গরু চুরি, কয়লা চুরি, বালি চুরির টাকা কোথায় গেল? ফিরহাদ হাকিম এত বড় বড় কথা বলছেন। ওর তো টাকার অভাব নেই। প্রতিটি মিউনিসিপালিটি থেকে কাটমানি খান। তাকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়, সরকারি কর্মীদের হয় না। তাহলে তার ভাষণ লোকে শুনবে কেন? ডিএ নিয়ে এ টানাপোড়েনের মধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুক্রবার মামলাটি ওঠেনি, আগামী সপ্তাহে উঠবে।
কংগ্রেস নেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী অরুনাভ ঘোষের একটি কথায় দিনান্তে আবার আগুন জ্বলে ওঠে। অরুনাভ ঘোষ বলেন, ডিএ পাওয়াটা সরকারি কর্মীদের যেমন বাধ্যতামূলক নয়, সরকারেরও তা দেয়া বাধ্যতামূলক নয়। এই কথাতেই শেষবেলায় ফের আসর জমে ওঠে।