রাজনীতি
বহিষ্কৃত নেতাদের মাফ করার সিদ্ধান্ত জাপা চেয়ারম্যানের: মহাসচিব
স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, রবিবার, ৭:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন

জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতাদের মাফ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দলের চেয়ারম্যান নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, দলে যারা বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তাদের মাফ করা চেয়ারম্যানের বিষয়। চেয়ারম্যান সেই বিষয়ে চিন্তা করবেন। কেউ কেউ বৈঠকে বলেছেন, যারা ক্ষমার অযোগ্য, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, তাদের বিষয়ে পজিটিভ সিদ্ধান্ত হয়তো নাও হতে পারে।
রোববার বেলা ১১টা থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ের মিলনায়তনে দলটির কো চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন চুন্নু।
জাপা মহাসচিব বলেন, দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি সিভিল মামলায় অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে তিনি অনেকদিন প্রেসিডিয়ামের বৈঠক করতে পারেন নাই। সেই অন্তবর্তী নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্ট স্থগিত করায় আজ (রোববার) আমরা এমপিদেরসহ প্রেসিডিয়ামের বৈঠক ডেকেছিলাম। বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী জুন মাসের মধ্যে জেলা সম্মেলন শেষ করবো। আগামী নির্বাচনের আগে আমরা চেষ্টা করবো, দলের কাউন্সিল করার। জুলাই মাসের পরে আমরা কাউন্সিল করতে পারি। ঈদের পরে আমরা প্রতিটি বিভাগে গণসংযোগের জন্য একটি করে বড় সমাবেশ করবো। সমাবেশগুলো যেন ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারি এজন্য আমাদের নানা কার্যক্রম থাকবে।
এসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারে জাতীয় পার্টি বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে জাপা মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখী দল। আমাদের নির্বাচন করা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। কেউ বলে সংবিধান অনুযায়ী আবার কেউ বলে কেয়ারটেকার। তবে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জীবিত থাকা অবস্থায় বলেছিলেন, কেয়ারটেকার কনসেপ্টে আমরা বিশ্বাস করি না। নির্বাচিতরা যদি নির্বাচন ভালো করতে না পারে, কেয়ারটেকার হলে পারবে তার কোনো গ্যারান্টি নাই। এর প্রমাণ গত কয়েকটি নির্বাচন। ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হওয়ার পরেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কিন্তু বলছে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তার মানে দু’টি দলই তাদের বক্তব্যে প্রমাণ করেছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু হয় নাই। কাজেই কেয়ারটেকার কনসেপ্টটা বাংলাদেশে কোনো কাজে আসে না।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশনের যদি উদ্দেশ্য ভালো থাকে, তারা যদি চায় এবং সরকার যদি আন্তরিকভাবে সহায়তা করে তাহলে বর্তমান কাঠামোতে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য আমি মনে করি সরকারের একটি ভূমিকা আছে, তাদের এমন একটি পরিবেশ করা উচিত যাতে সবাই যেন মনে করে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
এর আগে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথ সভা পরিচালনা করেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। সভায় বক্তৃতা করেন কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলহাজ্ব সাহিদুর রহমান টেপা প্রমুখ।