ভারত
'সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা অন্যায়' -ভারতের প্রধান বিচারপতি
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ মাস আগে) ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, রবিবার, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

সমকামিতাকে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। আমাদের সমাজে অবিচারের অনেক গল্পের মধ্যে এটি একটি। ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড় শনিবার একথা বলেছেন। মহারাষ্ট্র ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির (MNLU) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি (CJI)। প্রাক্তন CJI শরদ বোবদে, MNLU-এর প্রতিষ্ঠাতা চ্যান্সেলর এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ভূষণ গাভাই, বম্বে হাইকোর্টের সিনিয়র বিচারপতি সঞ্জয় গঙ্গাপুরওয়ালা (বোম্বে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি), সুনীল শুক্রে, অতুল চান্দুরকার এবং অনিল কিলোর সেই মঞ্চে ছিলেন ।মহারাষ্ট্রের অ্যাডভোকেট জেনারেল বীরেন্দ্র সরফ এবং বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্র এছাড়াও হাইকোর্ট এবং জেলা আদালতের বিচারক, আইনজীবী এবং আইন ছাত্ররা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।নভতেজ সিং জোহর মামলায় তার যুগান্তকারী রায়ের উদ্ধৃতি দেওয়ার সময় সিজেআই বলেছিলেন -'আইপিসি ধারা ৩৭৭ একটি "অনাক্রমিক ঔপনিবেশিক আইন" যা সমতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, জীবন এবং গোপনীয়তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে।'' মহারাষ্ট্র ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির মঞ্চে সেকথা আরো একবার মনে করিয়ে দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন-''সময় যত এগিয়েছে সংবিধান আরও ন্যায্য গণতান্ত্রিক সমাজের দিকে দ্রুত অগ্রসর হয়েছে, কিন্তু আমরা বিশ্রাম নিতে পারার আগে অনেক কাজ সম্পন্ন করা বাকি আছে। স্বাধীনতার সময় আমাদের সমাজকে যে গভীর বৈষম্য ভেঙ্গে দিয়েছিল তা আজও টিকে আছে। এই বৈষম্যকে অতীতের স্বপ্নে পরিণত করার সর্বোত্তম উপায় হল আমাদের সমাজে সংবিধানের চেতনা জাগ্রত করা। এই প্রচেষ্টায়, আমার প্রিয় ছাত্ররা তোমরাই একমাত্র এগিয়ে আসতে পারো। ''প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড়ের মতে , “যখন আপনি একজন আইনজীবী হিসাবে সফল হন এবং বিচারক হতে যান, তখন আপনি স্থবির হওয়ার জন্য একাধিক অজুহাত পাবেন। আইনের দুর্ভাগ্যজনক প্রকৃতি হলো এই এটি অলসতা এবং জড়তা।
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া