বাংলারজমিন
টঙ্গী ইজতেমার মাঠের ন্যায্য অধিকার চান সা’দ অনুসারীরা
স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী থেকে
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার
বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ও কাকরাইল মসজিদের ন্যায্য ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ৭ দফা দাবি নিয়ে তাবলীগ জামাতের মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীরা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। গতকাল দুপুরে উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস বাদল। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ সায়েম, এডভোকেট ইউনুস মিয়া, মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ, ভাই সোহেল ও আতাউল্লাহ। মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারী তাবলীগ জামাতের মুরুব্বিরা বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দান নিয়ে তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন প্রশাসনের কিছু লোক। তাদের কোনো কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। মাওলনা জোবায়ের গ্রুপ বিদ্রোহ করে বিশ্ব তাবলীগ মারকাজ দিল্লির নিজামউদ্দিন অনুসারী মূলধারা থেকে বের হয়ে গিয়েছে। কাকরাইল মসজিদ ও বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাদের কোনো বৈধতা নেই। তারা তাবলীগের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বার বার অশান্ত করতে চেষ্টা করছে।
সাদ অনুসারীরা বলেন, উভয় পক্ষকে একই মাঠে ইজতেমা করতে দেয়া হলেও জোবায়ের গ্রুপকে প্যান্ডেল নির্মাণ ও খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। অথচ মূলধারার জামাতকে কোনো কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। গত ২০১৮ সাল থেকে সাদপন্থি মূলধারার ইজতেমা অনুসারীরা সরল বিশ্বাসে প্রশাসনের কাছে ইজতেমা ময়দান হস্তান্তর করে। এরপর থেকে জোবায়েরপন্থিদের কাছে রহস্যজনকভাবে একতরফা ইজতেমা ময়দান, ইজতেমা ময়দানের মাদ্রাসা, ইজতেমা মসজিদ ও গোডাউন ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমা ময়দান নিয়ে সাদ অনুসারীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। দুইপক্ষের পৃথক ইজতেমায় যার যার মেহমান আসবে-এটাই স্বাভাবিক, জুবায়ের অনুসারীরা ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ব তাবলীগ আমীর মাওলানা সাদ কান্ধালভীকে না আসার দাবি জানিয়েছে। এটা তাদের রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি ছাড়া আর কিছুই না।
তৃতীয় পক্ষের উস্কানি, অপপ্রচার ও প্রশাসনের মধ্যে প্রভাব তৈরি করে পক্ষপাতমূলক আচরণ দুঃখজনক বলে দবি করেন সাদপন্থিরা। সাদপন্থিরা সম্মেলনে ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন, (১) প্রশাসনের তদারকিতে দুই পক্ষকে প্যান্ডেল তৈরি ও খোলার দায়িত্ব অর্পন (২) কাকরাইল মসজিদ ও ইজতেমা ময়দান থেকে মাদ্রাসা অপসারন (৩) তাবলীগের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতায় নিরপেক্ষ কমিটি গঠন (৪) কাকরাইল মসজিদ দিল্লির নিজামুদ্দিনের অধীনে পরিচালিত করা (৫) দেশের সকল মসজিদে তাবলীগের কার্যক্রম পরিচালিত করা (৬) বিশ্ব ইজতেমায় সকল মুরুব্বিদের আগমন নিশ্চিত করা ও (৭) তৃতীয় পক্ষের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।