শেষের পাতা
স্মরণসভায় বক্তারা
কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন মোবাশ্বের হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার
৩১ জানুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ছিলেন আলোকবর্তিকা। একজন সচেতন মানুষ। যিনি গণমানুষের অধিকার আদায়ে সবসময় ছিলেন সোচ্চার। নৈতিকতার প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন। সর্বগুণে গুণান্বিত একজন মানুষ। সবকিছুর বাইরে তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বরাবরই ছিলেন পাদ-প্রদীপের বাইরে। আপন মাতৃভূমিকে তিনি কেবল দিয়েই গেছেন, বিনিময়ে কিছু ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা করেননি। গতকাল রাজধানীতে জাগো আর্ট সেন্টারে এক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। জাগো আর্ট সেন্টার এ স্মরণসভার আয়োজন করে। এতে অংশ নেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শংকর হাজরা, ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান কামাল, স্থপতি তামান্না রহমান, এডভোকেট মঞ্জুর মোর্শেদ, শেখ মু. আসলাম, জাগো আর্ট সেন্টারের অধ্যক্ষ বেলাল হোসেন খান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মোবাশ্বের হোসেন একটি নাম, একটি ইতিহাস।
এডভোকেট মনজুর মোরশেদ বলেন, বাংলাদেশে অবদানের ক্ষেত্রে হিসাব করা হলে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যে সর্বক্ষেত্রে দেশকে দিয়েছেন। কিন্তু সেভাবে কিছুই পাননি। তিনি সেটি প্রত্যাশাও করেননি। বর্তমানে সাহস ও সততা নিয়ে কথা বলার লোকের খুব অভাব। আমি মনে করি মোবাশ্বের হোসেনের মধ্যে সেটি ছিল।
স্থপতি তামান্না রহমান বলেন, তিনি নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি পছন্দ করতেন। কিন্তু তিনি কখনো সার্টিফিকেট নেননি। কারণ তিনি সার্টিফিকেটধারী ছিলেন না। তিনি সবসময় মানুষকে সচেতন করেছেন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সর্বক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন করে গেছেন। কীভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে সেই পথই তিনি দেখিয়েছেন।