শেষের পাতা
১১ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে হবে এবার গ্রন্থমেলা
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
৩১ জানুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবারব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে গ্রন্থমেলার পরিসর বাড়ছে প্রতিনিয়ত। গ্রন্থমেলার এবারের আসর ১১ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে। সেই হিসাবে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৩’ এখন পর্যন্ত মেলার সব থেকে বড় আসর হতে যাচ্ছে। আগত ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে এবার মেলার স্টল প্যাভিলিয়ন ও খাবারের দোকানের বিন্যাসেও বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতিদিন মেলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানাতে এবার মেলা দুই অংশ- বাংলা একাডেমি ও সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে থাকছে ডিজিটাল বোর্ড। ছুটির দিন ব্যতীত অন্যান্য দিন মেলা চলবে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
গ্রন্থমেলা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ জানাতে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ও অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কেএম মুজাহিদুল ইসলাম।
গ্রন্থমেলার সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এবার গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।
এবার গ্রন্থমেলার আঙ্গিকগত ও বিন্যাসে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশন-এর অবস্থানগত কারণে গতবারের মূল প্রবেশপথ এবার একটু সরিয়ে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশপথের উল্টো দিকে অর্থাৎ মন্দির-গেটটি মূল প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
তিনি বলেন, গতবার মেলার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে ১৮২টি স্টল এবং ১১টি প্যাভিলিয়ন ছিল। স্টল মালিক ও ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার সেই স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো সরিয়ে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে আনা হয়েছে। এছাড়া স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো মেলা অংশে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের পরেই ক্রেতা পাঠকরা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সবক’টি স্টল দেখতে পান। এর পাশাপাশি যত্রতত্র খাবারের দোকান আগত দর্শনার্থীদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটাত বলে এবার সেগুলোকে একত্রে রাখা হয়েছে।
এছাড়াও এবার লিট্ল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের গ্রন্থ উন্মোচন অংশের কাছাকাছি। মেলা চলাকালীন মেট্রোরেলের কাজ রাত দশটার পরে থেকে শুরু হবে বলেও তিনি এ সময় সাংবাদিকদের জানান।
প্রতি বছরের মধ্যে এবারও গ্রন্থমেলায় থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন ও আলোচনা সভা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও জাতিসত্তার কবি হিসেবে পরিচিত নরুল হুদা, সচিব এএইচএম লোকমান, বিকাশের চিফ মার্কেটিং অফিসার মীর নওবত আলী প্রমুখ।
এবারের গ্রন্থমেলার মূল প্রতিপাদ্য- পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। আগামী বুধবার বিকাল ৩টায় গ্রন্থমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।
মন্তব্য করুন
শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]