বাংলারজমিন
পীরগঞ্জের অধিকাংশ সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ, বাড়ছে দুর্ঘটনা
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
২২ মে ২০২২, রবিবারপীরগঞ্জের অধিকাংশ সড়কে খড় ও ধান শুকানোর ফলে পথচারী ও যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। প্রাণহানিসহ আহতদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
চলতি ভরা ইরি মৌসুমে কৃষকরা তাদের ধান কেটে খড় শুকানোর জন্য উপজেলার আঞ্চলিক পাকা সড়কগুলো ব্যবহার করছে। ফলে পথচারীসহ রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা, বাস, ট্রাক চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে, বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ধান ও খড়ের সড়কে দুর্ঘটনায় ৫ জনের অকাল মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সর্বশেষ উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের শহিদুল (৩২) ভ্যানযোগে গত বুধবার ভেণ্ডাবাড়ী হাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভ্যান উল্টে প্রাণ হারান। গত এক সপ্তাহে উপজেলার অন্তত ৩০টি স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় দেড়শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
সরজমিনে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে কথা হয় গোপালপুর- রংপুর সড়কের বাস চালক রতন মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, ‘প্রতিদিন এই রাস্তায় গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে হয়। আমন আর ইরি ধানের সময় এলেই এই রাস্তায় খড় ও ধান শুকানোর হিড়িক পড়ে। খড় ও ধান শুকাতে দেয়ায় যানবাহন নিয়ে চলাচলে চরম সমস্যা হচ্ছে।’
ভ্যানচালক বিধান চন্দ্র ও খোকা মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, ‘ভ্যানটায় হামার সম্বল, এটা না চলালে পেটত ভাত যায় না।
একাধিক পথচারী সড়কে ধান ও খড় শুকাতে দেয়ায় যত্রতত্র সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে দাবি করে বলেন, রাস্তায় খড়, ধান শুকানো থেকে বিরত রাখার জন্য আমরা অনতিবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রাণী রায় জানান, ‘রাস্তায় খড় শুকাতে দেখেছি। তাই ইতিমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সড়কগুলো থেকে খড় বা ধান সরানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সড়ক থেকে ধান, খড় না সরানো হলে নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।