বাংলারজমিন
জকিগঞ্জে চারদিকে পানি আর পানি
জকিগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি
২২ মে ২০২২, রবিবারসুরমা, কুশিয়ারা বেষ্টিত সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জ ইতিমধ্যে বন্যায় ভেসে গেছে, অতীতের সকল বন্যার রেকর্ড ভেঙে দিয়ে এবার ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়েছে জকিগঞ্জ। প্লাবিত হয়েছে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম তলিয়ে গেছে। লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। সুরমা নদীর ৮টি ও কুশিয়ারা নদীর ১১টি স্থানে ডাইক ভেঙে এবং ডাইকের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হয়ে উপজেলার মানিকপুর, কাজলশার, বারহাল, বিরশ্রী, জকিগঞ্জ সদর, বারঠাকুরী, মানিকপুর, কাজলসার, কসকনকপুর, খলাছড়া, সুলতানপুর ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পৌরশহর রক্ষা হলেও এই কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে গেছে। চারদিক শুধুই হাহাকার। পর্যাপ্ত ত্রাণ ও বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। টানা কয়েকদিনের বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, কৃষকদের পাকা বোরো ধান, পুকুর ও ফিশারির লাখ লাখ টাকার মাছ। ডুবে গেছে শত শত বাড়িঘর। অনেকের কাচা ঘরগুলো ভেঙে মিশে গেছ পানিতে। কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বরাক, কুশিয়ারা ও সুরমার মিলনস্থল আমলসীদ এলাকার বরাক মুখ ভেঙে যাওয়ার পর বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে বন্যার্ত মানুষের জন্য সরকার ৩৬ মে.টন চাউল ও নগদ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। উপজেলার ৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ লোকমান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বন্যার্ত অসহায় মানুষদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজকর্মীরা সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছেন, পরিষদের সভায় সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে জকিগঞ্জ উপজেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করার জন্য, বিষয়টি উপরমহলে জানানো হয়েছে। জকিগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল আহাদ বলেন- পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ডাইকগুলো নির্মাণ ও অসহায় মানুষদের সাহায্যার্থে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবান মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার পল্লব হোম দাস জানান- পানি অনেকটাই কমেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথে, জেলা প্রশাসক ৩৬ মে.টন চাউল ও নগদ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। ২/১ দিনের মধ্যে আরও ২০ মে.টন চাউল বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।