ভারত
যোশীমঠে হোটেলের পর ভাঙা হচ্ছে ৩০ বাড়ি
বিশেষ সংবাদদাতা
(২ বছর আগে) ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

দেবভূমি যোশীমঠের খণ্ডহরে বসে ডুকরে কাঁদছে শেরু এবং টমি। দুই সারমেয়র মালিক তাদের ছেড়ে চলে গেছে চামলিতে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। পোষ্য দুটিকে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি অনিশ্চয়তার মোকাবিলায়। নিজেদের থাকা খাওয়ার যেখানে ঠিক নেই সেখানে শেরু-টমিকে নিয়ে গিয়ে কি করবেন? অভুক্ত দুই সারমেয় তাই ডুকরে কাঁদছে খিদের জ্বালায়। ভগ্নপ্রায় বাড়িতে অবস্থানকারী ডা. জোৎস্না নথিয়াল একদিন শেরু-টমিকে খাইয়েছেন। একদিন যোশীমঠের আতঙ্ক ভুলে নন্দিতা টামটা জনি নামের কুকুরছানা টিকে আশ্রয় দিয়েছেন। কিন্তু, প্রায় পরিত্যক্ত যোশীমঠে রাতের দিকে যে এখন নেকড়ে আর ভাল্লুক ঘুরে বেড়ায় তাদের হাত থেকে কে রক্ষা করবে শেরু, টমি কিংবা জনিকে? রাজ্য মন্ত্রিসভা জরুরি বৈঠকে গরু জাতীয় গৃহপালিত পশুর জন্য দৈনিক আশি টাকা ও কুকুর জাতীয় ছোট পোষ্যর জন্য দৈনিক পঁয়তাল্লিশ টাকা বরাদ্দ করেছে। কিন্তু, এই টাকা নেবে কে? যোশীমঠের জে পি ব্যাডমিন্টন কোর্টের সত্তর সেন্টিমিটার মাটির তলায়। মনোহর মার্গ সাত থেকে দশ সেন্টিমিটার বসে গেছে। মঙ্গলবার থেকে ৩০টি বসতবাড়ি ভাঙা শুরু হচ্ছে। যোশীমঠ পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়াটা বোধহয় সময়ের অপেক্ষা।