শেষের পাতা
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট বাতিলের এখতিয়ার জামুকা’র নেই
স্টাফ রিপোর্টার
৬ জানুয়ারি ২০২৩, শুক্রবারবীর মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি গেজেট থেকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ২২ বীর মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডোর নাম বাদ দেয়ার বিষয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা গেজেট বাতিলের এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নেই। এ ধরনের বিষয়ের ক্ষেত্রে সরকার এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসকে সাইফুজ্জামান। রায়ের পরে তৗফিক ইনাম টিপু বলেন, যে সমস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন, তাদের সনদ বাতিল করার এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নেই বলে রায় দিয়েছেন আদালত।
নথি থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধকালীন রিট আবেদনকারী ২২ জনসহ ৪৭৯ মুক্তিযোদ্ধা ভারত থেকে নৌ কমান্ডো প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতার পর সাত সদস্যের জাতীয় কমিটি ২০০১ সালে এ নৌ কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করেছিল। ২০০৪ সালের ১৫ই জুন এবং ২০০৫ সালের ১৭ই এপ্রিল দুই দফায় ৪৭৯ জন নৌ কমান্ডোর নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত করা হয়। এরপর থেকে তারা মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন, তবে ২০১৬ সালের ৭ই এপ্রিল জামুকার ৩৫তম সভায় রিট আবেদনকারীসহ ২৪ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি-সংক্রান্ত গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০১৬ সালের এপ্রিলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল গেজেটেড তালিকা থেকে ২২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম মুছে ফেলায় কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধা আবু হান্নান সরকারসহ ২২ জন ওই বছরের ৮ই মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
।