ঢাকা, ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার, ৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

মত-মতান্তর

স্ম র ণ

ভিন্নধারার এক রাজনীতিক

আশরাফুল ইসলাম
৩ জানুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার
mzamin

বাংলাদেশের শুদ্ধ রাজনীতির আইকন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ময়মনসিংহ শহরে ১৯৫২ সালের পহেলা জানুয়ারি তিনি জন্মেছিলেন। ২০১৯ সালের ৩রা জানুয়ারিতে তিনি চলে গিয়েছেন চিরদিনের মতো। মাঝখানে তিনি রেখে গেছেন খোলা বইয়ের মতোই উন্মুক্ত তার ৬৭ বছরের জীবন। নিজেকে সকল লোভ, মোহ এবং বিতর্কের ঊর্ধ্বে রেখে একালের রাজনীতিতে এক ব্যতিক্রমী চরিত্র হিসেবে সমহিমায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। স্বভাবতই তিনি আস্তানা গেড়েছেন বাংলার কোটি মানুষের বক্ষস্থলে; মানুষের বুকের যে অঞ্চলে অমর মানুষের বসবাস। মৃত্যুর চার বছর পরও বাংলাদেশ অনুভব করছে বিরল এই রাজনীতিকের শূন্যতাকে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তিনি। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। তিনি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন।

বিজ্ঞাপন
যুদ্ধকালীন রাষ্ট্রপতির ছেলে হয়েও শুকনো রুটি খেয়েছেন, স্টেনগান হাতে মাটিতে বুকে ভর দিয়ে যুদ্ধ করেছেন। ভারতীয় জেনারেল উবান স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে তার বইয়ে যে সাদামাটা, শান্ত আর বুদ্ধিদীপ্ত তরুণ যোদ্ধা আশরাফের কথা বলেছিলেন, তিনিই বাংলাদেশের সৈয়দ আশরাফ।
১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় ৪ নেতাকে যখন নির্মমভাবে হত্যা করার পর সেই দুঃসহ সময়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মমতাময়ী মা সৈয়দা নাফিসা ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে পরিবারের বিপর্যয় সামলেছেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের সূত্র ধরে ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে যুক্ত থাকা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যুক্তরাজ্যে প্রবাস জীবনেও সক্রিয় থেকেছেন সেখানকার মূলধারার রাজনীতিতে। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ডাকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তিনি ফিরে এসেছিলেন। দেশে ফেরার পর অংশ নিয়েছিলেন ১২ই জুনের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ১৯৯১ সালে বিএনপি’র কাছে হারানো কিশোরগঞ্জ সদর (তৎকালীন কিশোরগঞ্জ-৩) আসনটি পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রাজনীতিতে অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তন হয় তার। এই প্রত্যাবর্তনের পর একজন ভদ্র, বিনয়ী ও অজাতশত্রু রাজনীতিবিদ হিসেবে দলের সবার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও স্নেহ কুড়াতে বেশি সময় নেননি সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চরম ভরাডুবি ঘটলেও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ১৭তম জাতীয় কাউন্সিলে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এক-এগারোতে সেনা সমর্থিত সরকার রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার নীল-নকশা নিয়ে যখন এগোচ্ছিল, বয়সের ভারে ন্যূব্জ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমান একা সবকিছু সামাল দিয়ে পেরে উঠছিলেন না। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল কারাগারে থাকায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন সৈয়দ আশরাফ। সেই ক্রান্তিলগ্নে দৃঢ়চিত্ত আর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন হওয়া থেকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনাকে মুক্ত ও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে অবিস্মরণীয় অবদান রাখেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। নিজে খ্যাত হন ‘মিস্টার ক্রাইসিসম্যান’ অভিধায়।
দল ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ২৪শে জুলাই আওয়ামী লীগের ১৮তম জাতীয় কাউন্সিলে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের ২৯শে ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ১৯তম জাতীয় কাউন্সিলে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে তিনি জায়গা পান প্রেসিডিয়ামে। তখন আরেক দফা তার প্রতি নেতাকর্মীদের আবেগ অনুভূতি ও সমর্থন দৃশ্যমান হয়। তুমুল জনপ্রিয়তা নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি।

কেবল এক-এগারোতেই নয় দেশের রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহে আওয়ামী লীগের সামনে যখনই কোনো সংকট কিংবা চ্যালেঞ্জ এসেছে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তখনই অবতীর্ণ হয়েছিলেন ত্রাতার ভূমিকায়। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমৃত্যু কাজ করে গেছেন তিনি। ২০১৩ সালের ৫ই মে পুরো ঢাকা শহর হেফাজতে ইসলামী দখলে নিয়ে যখন তাণ্ডবে মেতে ওঠে, হাজার হাজার হেফাজত কর্মীর সামনে তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন অসহায়। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন, তখনো ব্যতিক্রম ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সেদিন তার বলিষ্ঠ ও সাহসী পদক্ষেপ সরকার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সম্ভাব্য ‘অস্বস্তি’ থেকে রক্ষা করেছেন। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে বেসামাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও বিশ্বস্ত স্বজনের মতো শেখ হাসিনার পাশে থেকে শক্তহাতে সামাল দিয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

২০১৫ সালের ৭ই জুলাই নিজ নির্বাচনী এলাকায় পূর্বনির্ধারিত দু’দিনের সরকারি সফরে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন তৎকালীন এলজিআরডিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। দুপুরে এমন প্রস্তুতির মাঝে জরুরি ফোন আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। ফোন পেয়েই গণভবনে ছুটে যান সৈয়দ আশরাফ। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সৈয়দ আশরাফকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, এমন একটি খবর বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে ব্রেকিং নিউজ হিসেবে এর আগে থেকেই প্রচার হতে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের সাক্ষাতের পর শেষ বিকালে নির্ধারিত সময়ের অন্তত ৩ ঘণ্টা পর কিশোরগঞ্জ পৌঁছান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। কিশোরগঞ্জ জেলায় দু’দিনের সফর শেষে ৮ই জুলাই ঢাকায় ফেরার পর ৯ই জুলাই এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সৎ, ভদ্র ও বিনয়ী মানুষ হিসেবে পরিচিত ক্লিন ইমেজের এই রাজনীতিকের অব্যাহতির খবর স্বভাবতই ব্যথিত ও বিস্মিত করে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে। দলমত নির্বিশেষে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। নেটিজেনরা তাদের ক্ষোভ, হতাশা ও বেদনার কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া একজন রাজনীতিকের জন্য মানুষের এমন মনোবেদনা প্রকাশের মাঝেই যেন অবধারিতভাবে প্রকাশ্যে এসেছিল সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিপুল জনপ্রিয়তার বিষয়টি।

২০১৬ সালের ২২শে অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে দেয়া সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যে কেঁদেছিলেন আওয়ামী লীগের লাখো নেতাকর্মী। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের সন্তান। আওয়ামী লীগের ঘরেই আমার জন্ম। আওয়ামী লীগ যখন ব্যথা পায়, আমার হৃদয়েও ব্যথা লাগে। আওয়ামী লীগের একটা কর্মী যদি ব্যথা পায়, সেই ব্যথা আমি অনুভব করতে পারি।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমাদের রক্ত খাঁটি। আমাদের রক্ত পরীক্ষিত। আমি আওয়ামী লীগ, আমৃত্যু আওয়ামী লীগ। একটা অনুভূতির নাম আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর রক্ত, হাজার হাজার আওয়ামী লীগারের মৃত্যুতে, আন্দোলন-সংগ্রামে যে অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে, সেই অনুভূতির নামই আওয়ামী লীগ।’ তার এমন কালজয়ী বক্তব্য আজো মানুষকে সমানভাবে আলোড়িত করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা তাকে চেনেন একজন নির্লোভ, নীতিবান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আর্দশে গড়া একজন স্বল্পভাষী তবে লক্ষ্যে অটুট নেতা হিসেবে।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিপুল জনপ্রিয়তার বিষয়টি আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে সৈয়দ আশরাফ নিজে সেটি দেখে যেতে পারেননি। ২০১৯ সালের ৬ই জানুয়ারি, দিনটি ছিল রোববার। দুপুর ১২টা ৩৮ মিনিটে কফিনে শুয়ে প্রিয় কিশোরগঞ্জের মাটিকে স্পর্শ করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত হাজারো নেতাকর্মী তার মরদেহ গ্রহণ করেন। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জানাজাস্থল শোলাকিয়া ময়দানে। ঈদে যে শোলাকিয়া ময়দান মুখরিত হয় লাখো মুসল্লির পদভারে, সেই শোলাকিয়া ময়দান মহাসমুদ্রের রূপ নিয়েছিল শোকাহত মানুষের ভিড়ে। চোখে অশ্রু আর নীরব বেদনা নিয়ে লাখো মানুষ অংশ নেন রাজনীতির মহাকবি সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নামাজে জানাজায়। দুপুর সোয়া একটায় নামাজে জানাজা শুরু হলেও এর অনেক আগেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় ঐতিহাসিক এই ঈদগাহ ময়দান। সারা বাংলার মানুষকে হয়তো কিশোরগঞ্জবাসী দেখাতে চেয়েছিলেন, সৈয়দ আশরাফের প্রতি ভালোবাসার নমুনা। প্রিয় নেতার জানাজার নামাজ তাই হয়ে যায় মহাসমুদ্র। ভালোবাসার এমন মহাসমুদ্র এর আগে কখনো দেখেনি কিশোরগঞ্জ। জানাজা শেষে মানুষ ছোটেন তার কফিনের দিকে। নিথর দেহে কফিনবন্দি শুদ্ধ রাজনীতির মানুষটির স্পর্শ নিতে, কফিনটাকে একটু ছুঁয়ে দিতে, তাতে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দিতে কি প্রাণান্ত চেষ্টাই না তারা করেছেন। কেউ পেরেছেন, কেউবা পারেননি। যেন এক পাশে পুরো কিশোরগঞ্জ। বাবার প্রতি মানুষের এই ভালোবাসা দেখে শোলাকিয়া মাঠের মিম্বরের দোতলায় দাঁড়িয়ে নীরবে চোখের জল ফেলেছেন একমাত্র সন্তান সৈয়দা রীমা ইসলাম। দেখছিলেন, বাবার প্রতি কিশোরগঞ্জের মানুষের ভালোবাসা। কিশোরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ যেন ভাগাভাগি করে নিতে চাইছেন তার পাথরচাপা কষ্টটা। কিশোরগঞ্জের মানুষের কাছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সততা ও স্বচ্ছতার প্রতীক। তাদের মতে একজন সৎ আর্দশবান নেতা নির্দিষ্ট কোনো দলের হয় না, তিনি সকলের শ্রদ্ধেয়। তাইতো জেলার নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা লাখো মানুষের ভিড়ে সাত একর আয়তনের বিশাল শোলাকিয়া মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় বেলা ১২টা বাজার আগেই। সৈয়দ আশরাফ এক অনুভূতির নাম, এই মহাসমুদ্রের মাধ্যমে তার প্রমাণ দিয়েছেন কিশোরগঞ্জ তথা সারা বাংলার মানুষ। সততার রাজনীতির স্থপতি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন কিশোরগঞ্জবাসীর হৃদয়ে। শেষ বিদায়ে এমন ভালোবাসা ক’জন রাজনীতিকের ভাগ্যেই বা জুটেছে!

পারিবারিক জীবনে মা সৈয়দা নাফিসা ইসলাম ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জীবনের আদর্শ। ২০০১ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সৈয়দা নাফিসা ইসলাম। মায়ের এই শূণ্যতা কাঁদাতো সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী সৈয়দা শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের ২৩শে অক্টোবর লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর থেকেই অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ২০১৮ সালের ৩রা জুলাই তাকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম চলে গেলেও রেখে গেছেন নির্মোহ ও নিষ্কলুষ রাজনীতির অনুসরণীয় একটি অধ্যায়। তার মতো ভিন্নধারার মহাপুরুষেরা প্রতিদিন জন্মায় না। প্রতিমাসে কিংবা প্রতিবছরেও না। কীর্তিমান এ রাজনীতিকের শারীরিক মৃত্যু ঘটলেও তিনি অনন্য এক ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’।

 

মত-মতান্তর থেকে আরও পড়ুন

   

মত-মতান্তর সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সবদলই সরকার সমর্থিত / ভোটের মাঠে নেই সরকারি দলের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো বিরোধীদল

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status