ঢাকা, ১ জুলাই ২০২৪, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪ জিলহজ্জ ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

বাংলাদেশের আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ

জিল্লুর রহমানের কন্টেন্ট সরাতে টুইটারকে বিটিআরসি’র অনুরোধ

মানবজমিন ডিজিটাল

(১ বছর আগে) ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৬ পূর্বাহ্ন

mzamin

চ্যানেল আই'তে প্রচারিত জনপ্রিয় টকশো `তৃতীয় মাত্রা’র উপস্থাপক ও পরিচালক এবং বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের একটি 'কন্টেন্ট' সরাতে 'টুইটার' কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ওই অনুরোধে দাবি করা হয়েছে, জিল্লুর রহমানের কন্টেন্ট বাংলাদেশের আইন লঙ্ঘন করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারে জিল্লুরের পোস্ট থেকে জানা যায়- বাংলাদেশ সময় গতকাল (২৮ ডিসেম্বর) টুইটার থেকে প্রেরিত ইমেইলে তাকে বলা হয়েছেঃ

"স্বচ্ছতার স্বার্থে আমরা আপনাকে অবহিত করছি যে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছ থেকে টুইটার একটি অনুরোধ পেয়েছে, যাতে দাবি করা হয়েছে- আপনার টুইটার অ্যাকাউন্টের 'এই কন্টেন্ট' বাংলাদেশের আইন লঙ্ঘন করেছে।"

তবে, বিটিআরসি'র অনুরোধ স্বত্ত্বেও জিল্লুরের ওই কন্টেন্ট টুইটার থেকে এখনো সরানো হয়নি। ব্যবহারকারীদের কণ্ঠস্বরের সুরক্ষা দেওয়া এবং সম্মান জানানোর নীতির প্রতি টুইটার শ্রদ্ধাশীল জানিয়ে ইমেইলে বলা হয়ঃ

"আমরা ওই অনুরোধ পেয়ে 'রিপোর্ট করা কন্টেন্ট' এর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি। আমরা (টুইটার) যেহেতু দৃঢ়ভাবে আমাদের ব্যবহারকারীদের কণ্ঠস্বরের সুরক্ষা দিতে এবং সম্মান জানানোতে বিশ্বাস করি, তাই যদি আমরা কোনো অনুমোদিত সংস্থা (যেমন- আইন প্রয়োগকারী বা সরকারি সংস্থা) থেকে (ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে বিষয়বস্তু সরানোর জন্য) আইনি অনুরোধ পাই সেক্ষেত্রে আমাদের নীতি হলো আমাদের ব্যবহারকারীকে বিষয়টি অবহিত করা। যে দেশ থেকে 'অনুরোধ'টি এসেছে সেই দেশে (সংশ্লিষ্ট) ব্যবহারকারী থাকুন বা না থাকুন, আমরা তাকে নোটিশ দিই।"

জিল্লুরকে এ বিষয়ে বেশকিছু পরামর্শ দিয়ে টুইটার লিখেছেঃ

"এ ধরনের নোটিশ পাওয়া যে অস্বস্তিকর হতে পারে, সেটা আমরা বুঝি। টুইটার যদিও আইনি পরামর্শ দিতে পারে না [অথবা সংযুক্ত আইনি প্রক্রিয়ার অনুবাদ দিতে পারে না], আমরা চাই আপনি অনুরোধটি মূল্যায়নের সুযোগ পান। যদি আপনি চান, আপনার স্বার্থ রক্ষার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিন। আইনি পরামর্শ চাওয়া এবং আদালতে অনুরোধটিকে চ্যালেঞ্জ করার মাধ্যমে এটা করা যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ করে, স্বেচ্ছায় কন্টেন্ট মুছে ফেলে (যদি প্রযোজ্য হয়), বা অন্য কোন উপায়েও এর সমাধান খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। টুইটার বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সরকারের কাছ থেকে যেসব  আইনি অনুরোধ পায় সে সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে আমাদের সহায়তা কেন্দ্র এবং আমাদের দ্বিবার্ষিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদনের নিবন্ধটি পড়ুন।"

এর আগে শরীয়তপুরে নিজের গ্রামের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন জিল্লুর।

বিজ্ঞাপন
তার কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং তিনি সহ তার পরিবার এবং প্রতিবেশীদের ভয় দেখানোও এর নেপথ্য কারণ বলে তিনি (২২ ডিসেম্বর) ফেসবুকে অভিযোগ করেছিলেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে। অভিযোগের পরপরই গোসাইরহাট থানার (যেখানে জিল্লুরের বাড়ি) ওসি আসলাম সিকদার বলেছিলেন, এ বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। পুলিশের কোনো কর্মকর্তা গিয়েছিলেন কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হবে। তবে, গতকাল (২৮ ডিসেম্বর) শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল হক পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে প্রথম আলো কার্যালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে দাবি করেছেন, জিল্লুর রহমান, তার পরিবার বা প্রতিবেশীদের ভয় দেখানো বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে পুলিশ সেখানে যায়নি। বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) ও ভাড়াটিয়ার তথ্য সংগ্রহের জন্য পুলিশ সেখানে গিয়েছিল।
 

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status