ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেষের পাতা

সবাই যেন কাজ করতে পারে সেই পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার
১২ মে ২০২২, বৃহস্পতিবার
mzamin

দেশে বিভিন্ন খাতে শ্রমিক সংকট রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশে কোনো বেকারত্ব নেই। পোশাক কারখানায় এখন অনেক বেশি অর্ডার আসছে। অথচ কাজের জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এটা শিল্প খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মাল্টিপারপাস হলে এক সেমিনারে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন।
আইসিটি ফ্রিল্যান্সিং ইন বাংলাদেশ: প্রেজেন্ট স্ট্যাটাস, চ্যালেঞ্জিং অ্যান্ড অপরচুনিটি’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমান। 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, বিজিএমই নেতারা বলছেন, জর্ডানে পোশাক কারখানায় আমাদের অনেক শ্রমিক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আপনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বলেন, এটা বন্ধ করতে। কারণ আমরা পোশাক কারখানায় শ্রমিক পাচ্ছি না। তাই আমি বারবার বলে আসছি- আমাদের দেশে এখন আর বেকারত্ব নেই। 
আপনারা জানেন, কৃষকরা ফসল ঘরে তোলার সময় শ্রমিক পাচ্ছেন না। গত বছর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ সারা দেশের কৃষকদের সহায়তা করেছে।

বিজ্ঞাপন
এখন গ্রামাঞ্চলে ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেক উন্নত হচ্ছে। সেখানে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও বিউটি পার্লার হচ্ছে।
গ্র্যাজুয়েশন করেও অনেকে বেকার থাকছেন প্রসঙ্গে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আনএমপ্লয়মেন্ট (বেকারত্ব) কোথায় আছে? যারা ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন, তারা এখন সরকারকে বলছে চাকরি দেন। আমার কথা হচ্ছে, আপনারা ডিগ্রি নেয়ার আগে চিন্তা করেননি কোনদিকে ক্যারিয়ার গড়বেন? ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাকাউন্টেন্ট যারা, তারা ডিগ্রি নিয়ে চাকরি পাচ্ছেন, কোনো অসুবিধা তো হচ্ছে না। আমাদের আননেসেসারি ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি নিয়ে অনেকে চাকরি পাচ্ছেন না। আরেকটা সমস্যা হচ্ছে ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর অন্য কোনো কাজ করতে পারছি না। তারা ওই ধরনের একটি কাজ প্রত্যাশা করছে। এ সমস্যা নিয়ে আমরা অনেক কাজ করছি। সবাই যেন কাজ করতে পারে। একইসঙ্গে ফ্রিল্যান্সিংটাও যেন ভালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে।’
ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সারদের সব সমস্যা সমাধান করেছি। এখন তো সমস্যার কথা কেউ বলছে না। ফ্রিল্যান্সাররা বর্তমানে এক বিলিয়ন ডলার আয় করছেন। আমরা ৪০০ মিলিয়ন ডলার অফিসিয়ালি পেয়েছি। প্রথমে টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে আনা যেতো না। বিদেশি আত্মীয়দের কাছ থেকে নিতে হতো। আমরা ফ্রিল্যান্সার-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছি। অনেকে ২০৪১ সালের কথা বলছেন, ওই সময়ে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হবে। তবে আমরা বলছি, এতদিন অপেক্ষা করা লাগবে না। আমি আশাবাদী, ফ্রিল্যান্সিংয়ে ২০২৫-২৬ সালে ১০ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবো।’
সালমান এফ রহমান উল্লেখ করেন, ভালো লাগছে, অনেক সমস্যা এখন সমাধান হয়ে গেছে। সরকারের কাজ হলো অনুকূল পরিবেশ করে দেয়া। প্রধানমন্ত্রী যখন ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসেছিলেন, টেলিভিশন, ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিয়েছেন। এতে অনেক বেশি উন্নয়ন হচ্ছে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমান বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সিংয়ে জড়িত ৭০ শতাংশই তরুণ। দেশে ৭৫ শতাংশ বেকার তরুণ আছে, তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ যদি ফ্রিল্যান্সিং করেন, তাহলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। গ্লোবাল মার্কেটিংয়ের আকার দিন দিন বাড়ছে। আমাদের তরুণরা এটার ভাগ বসাতে চান। গ্লোবাল মার্কেটে পদচারণা বাড়াতে পারলে আমরা বিশ্বে সেকেন্ড লার্জেস্ট ফ্রিল্যান্সার সাপ্লায়ারে পরিণত হবো।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) দুলাল কৃষ্ণ সাহা এতে সভাপতিত্ব করেন।
 

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status