কুষ্টিয়ায় স্বামীকে গলা কেটে হত্যা

কুষ্টিয়ায় সাব্বির আহমেদ (৩৭) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রোজিনা খাতুনের বিরুদ্ধে। গত রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে স্ত্রী রোজিনা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ পরিবারের। পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন সাব্বিরকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টার সময় তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। নিহত সাব্বির আড়ুয়াপাড়া এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে।
নিহতের চাচাতো ভাই তামিম হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, গত রাত ৩টার দিকে তার ভাই সাব্বিরকে চাকু দিয়ে গলা কেটে পালিয়ে যায় দ্বিতীয় স্ত্রী রোজিনা খাতুন। ঘটনাটি টের পেয়ে তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বিরের মৃত্যু হয়। এক মাস আগে রোজিনার সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিবাহ হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় দু’জন ঘোরাঘুরি করে বাড়ি ফিরে রাতে ঘুমাতে যায় বলেও জানায় তামিম। নিহতের প্রথম স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ঢাকাতে অবস্থান করেন। 
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘শহরের আড়ুয়াপাড়ায় সাব্বির নামে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। দুইদিন পূর্বে নিহত সাব্বির তার ২য় স্ত্রী সদর উপজেলার উত্তর লাহিনীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল ইসলামের কন্যা রোজিনা খাতুন (২৫) নিখোঁজ হয়েছে মর্মে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল।

পরে গতকাল তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই একসঙ্গে থানায় এসে উভযের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করে মুচলেকা দিয়ে বাড়ি চলে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনের জেরে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।