বাংলারজমিন
নতুন চা
প্রতি কেজি বিক্রি হবে ২৮ হাজার টাকায়
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার
শ্রীমঙ্গলে টি টেস্টিং ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টি বোর্ডের উন্নত উদ্ভাবনী বিভিন্ন প্রকার চায়ের ডিসপ্লে করা হয়। এর মধ্যে বিটিআরআই ক্লোন ১ থেকে বিটিআরআই ক্লোন ২৩ পর্যন্ত ডিসপ্লেতে ছিল। এ ছাড়া বিশেষ উন্নতমানের ১১টি কোয়ালিটি ডিসপ্লে করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ টি বোর্ডের একেবারে নতুন জাতের উদ্ভাবনী চা ছিল হোয়াইট টি, ইয়েলো-টি। হোয়াইট টি বাজারজাত করা হলে দেশের বাজারে প্রতি কেজি ২০-২৮ হাজার টাকা এবং ইয়েলো টি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যাবে বলে জানা গেছে। টি বোর্ড সূত্রে মতে এসব উন্নতমানের চা বিদেশের বাজারে লাখ টাকার উপরে বিক্রি হয়। রোববার সকাল ১০টায় বিটিআরআইয়ের বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটে (পিডিইউ) চা উৎপাদন এবং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দক্ষতা উন্নয়নকল্পে পিডিইউ এর পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত ‘টি টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল’ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশীয় চা সংসদের চেয়ারম্যান এম শাহ আলম। এছাড়া অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশীয় চা সংসদ কমিটির সদস্য, তাহসিন আহমেদ চৌধুরী, ফিনলের ভাড়াউড়া ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার জি এম শিবলী, ইস্পাহানির জেরিন চা বাগানের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সেলিম রেজা চৌধুরীসহ বিভিন্ন চা বাগানে কর্মরত সিনিয়র প্লান্টার্স, বিভিন্ন টি ভ্যালির চেয়ারম্যানবৃন্দ, ব্রোকার্স হাউজের অভিজ্ঞ টি টেস্টারগণ এবং বিটিআরআই ও পিডিইউ-এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা চা শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় ১২০ জন ব্যক্তিবর্গ। বাংলাদেশীয় চা সংসদ কমিটির সদস্য তাহসিন আহমেদ চৌধুরী গুণগতমানের চা উৎপাদনের বিষয়ে অত্মনিয়োগ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর আহ্বান জানান। পিডিইউ-এর পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ১৬৭টি চা বাগানে প্রায় ৮০০০ জন ক্ষুদ্র চা চাষি রয়েছেন। এসব চা বাগানের মোট আয়তন ২৭৯৪৩৯.৬৩ একর। এর মধ্যে চা চাষাধীন জমি রয়েছে ১৫৪৫১৫.৭৯ একর। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে ঐতিহ্যবাহী রপ্তানিমুখী এ চা শিল্পের উৎপাদনের কিয়দংশ বিদেশে রপ্তানি করে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ চা বোর্ড। অনুষ্ঠানে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশে এখন চায়ের উৎপাদন ক্রম বর্ধমান পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় আমাদের চায়ের উৎপাদন বেশি হচ্ছে। আমরা এখন চিন্তা করছি, চা রপ্তানির পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে। সেজন্য আরা বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। চা রপ্তানির ক্ষেত্রে কোয়ালিটি চা উৎপাদনের বিকল্প নেই’।