শেষের পাতা
কুমিল্লায় বুলুর ওপর হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার এলাকায় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লা বুলুর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন বাদী হয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৬ এ মামলাটি দায়ের করেছেন। পরে আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার নামীয় আসামিরা হলো- সাইকচাইল এলাকার রঙ্গু মিয়ার ছেলে মো. সাফায়েত হোসেন (৪৫), জাওড়া (পশ্চিমপাড়া) এলাকার কালা মিয়ার ছেলে আতাউর রহমান শিপন (৩৮), মো. মানিকের ছেলে বাবু (৩২), বড় কাচিএলাকার মজু মিয়ার (সুপারি বেপারী) ছেলে রুবেল হোসেন (৩৮), সাইকচাইলের তোরাব আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম (৪২), ছুট্টি মিয়ার ছেলে মো. সাজু আহাম্মদ (৩০), বড় কাঁচি এলাকার তোফায়েল মেম্বারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৩), জাওড়া (পূর্বপাড়া) এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবির (৪২), সাইকচাইল এলাকার মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে মাজহারুল ইসলাম (৪০),
বিপুলাসার এলাকার মৃত মানিকের ছেলে মো. রাকিব (২৮), জাওড়া (পশ্চিমপাড়া) এলাকার আব্দুর রবের ছেলে মানিক মিয়া (৩৫), বড় কাঁচির আবুল কাশেমের ছেলে ইমন হোসেন (৩৮), জাওড়া (পশ্চিমপাড়া) এলাকার মোতালেব ভূঁইয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৫), সাইকচাইলের নূরুন নবীর ছেলে বিজয় (৩২), কেয়ারী এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক (৩৬), রুদ্রপুর এলাকার আবুল কাশেম আজাদের ছেলে মাসুদ পারভেজ (৩৭), দিশাবন্দ এলাকার কালা মিয়ার ছেলে সেলিম (৩৭)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জন। গত ১৭ই সেপ্টেম্বর বরকত উল্লা বুলুর স্ত্রীসহ তার নোয়াখালীর বাসা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার বাজারে বিকাল ৫টার সময় তার গাড়ির চাকার হাওয়া শেষ হয়ে যায়। এ সময় গাড়ির চালক হাওয়া নিতে গেলে বিএনপি নেতা বুলু, তার স্ত্রী ও তার সঙ্গে আসা নেতাকর্মীরা মক্কা ক্যাফে রেস্টুরেন্টে চা খেতে যান। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে। এ সময় বিএনপি নেতা বুলু, তার স্ত্রী, মনোহরগঞ্জের স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ দলের ৭-৮ জন মারাত্মক আহত হয়। বরকত উল্লা বুলুর মাথায় ১৮টি সেলাই দেয়া হয় এবং এখনো তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলার আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু বলেন, আমরা মামলার আবেদন করেছি। আদালত গ্রহণ করে তা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।