বাংলারজমিন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহামারি রূপে ডেঙ্গু, পৌরসভার পদক্ষেপ কী?
ফারুক আহমেদ চৌধুরী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে
১০ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবারচাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর উপচে পড়া ভিড়। চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যমতে, প্রতিদিনই হাসপাতালে আসছে নতুন নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। বর্তমানে ৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে ৮ জন শিশু। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৩৪ জন। এ সময়ের মধ্যে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৩৩ জনকে। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে ৩ জনকে। সবমিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্য দাঁড়িয়েছে ৮০৭ জনে। এখন প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে, ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান পৌরসভা কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
পৌরসভার বাসিন্দারা বলছেন, শহরে মশার দাপট এখন আর ঋতুভিত্তিক কোনো বিষয় নয়, বরং বছর জুড়ে চলমান এক নাগরিক সংকটে রূপ নিয়েছে। দিনের বেলায় ডেঙ্গু রোগবাহী এডিস, আর সন্ধ্যার পর কিউলেক্সের আক্রমণে অতিষ্ঠ শহরবাসী। বাড়ছে ডেঙ্গু সংক্রমণের সংখ্যা। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ এতে শঙ্কিত না হয়ে জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। পৌরবাসীর অভিযোগ, প্রতিদিন ঘরে-বাইরে মশার কামড়ে শিশু-বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে একদিকে ডেঙ্গু আতঙ্ক, অপরদিকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা হয়ে উঠেছে অস্বস্তির। কিন্তু শহরে মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পৌর কর্তৃপক্ষের- তারা কী করছে?
পৌরসভার কর্মকর্তারা জানান, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মশা নিধন কর্মসূচি, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মশক নিধন কার্যক্রমসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ বলেন, আমাদের যে নিয়মিত কার্যক্রম সেগুলা চালু আছে। আর ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় ক্রাস প্রোগ্রাম চলছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ১০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। মাইকিং এবং মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে ফগিং, লার্ভিসাইডিং এই কাজগুলা চলবে।
ডেঙ্গু বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা নিয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. একেএম শাহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই রোগ প্রতিরোধে আমরা নিয়মিত কাজ করছি। আক্রান্তদের জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য মাইকিং হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সচেতন হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমতে পারে।