বাংলারজমিন
‘এই সরকার আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের পাহারাদার’
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
৫ জুলাই ২০২৫, শনিবারগণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা দেশে রয়ে গেছে। ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদ হতে সহযোগিতা করেছে। আওয়ামী লীগের বিচারের পাশাপাশি এই দোসরদের বিচার হওয়া উচিত। আবু হানিফ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ১১ মাস হয়ে গেলেও এখনো আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যারা ক্ষমতায় বসেছে তারাও দায়িত্ব পালন করছে না। এই সরকার আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের পাহারাদার হিসেবে কাজ করছে। বরিশালের আদালতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টির মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা গ্রহণের নির্দেশের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবু হানিফ এসব কথা বলেন। শুক্রবার বিকালে গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। আবু হানিফ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান না হলে এই দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেতো না। সেই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে, জনগণকে মুক্ত করার জন্য পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম নুরুল হক নুর। এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতাদের নামে আদালত কীভাবে মিথ্যা মামলা নেয়ার নির্দেশ দেয়, সেটা বোধগম্য নয়। এই বিপ্লবীদের নামে কাদের ইশারায় মামলা হচ্ছে- আমরা জানতে চাই। আবু হানিফ যোগ করেন, জাতীয় পার্টির বিচারের আগে কোনো কর্মকাণ্ড করতে দেবে না এই দেশের জনগণ, তাদেরও বিচার হতে হবে। বরিশালে জাতীয় পার্টির মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছিল, সেটা প্রতিহত করতে গেলে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর তারা হামলা করেছিল। সেই জাতীয় পার্টি এখন আবার আদালতে মামলার আবেদন করে এবং আদালতও সেটা গ্রহণ করে। এই আদালতে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিয়ন্ত্রণ করছে। আগে হাসিনার নির্দেশে রায় হতো। এখন কার নির্দেশে আদালত চলছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আদালতকে ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত করতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক অভি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন তালুকদার। এতে অন্যদের মধ্যে যুব অধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি সোহাগ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজান, ছাত্র অধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি ইমন খান, সাধারণ সম্পাদক পায়েল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি নুরুল হক, সহ-সভাপতি আশরাফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে শহরের পুরানথানা এলাকার গণঅধিকার পরিষদের জেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তমঞ্চের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।