বিশ্বজমিন
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট
ট্রাম্পের ইরানবিরোধী সামরিক পদক্ষেপ সীমিত করার বিল আটকে গেল
মানবজমিন ডেস্ক
(৪ ঘন্টা আগে) ২৮ জুন ২০২৫, শনিবার, ৫:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৩২ অপরাহ্ন

একক সিদ্ধান্তে যুদ্ধে যাওয়া বা ওয়ার পাওয়ার সীমিত করার চেষ্টা আটকে গেল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যাতে কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া যুদ্ধে অনুমোদন দিতে না পারেন সে জন্য কংগ্রেসের সিনেটে একটি বিল এনেছিল ডেমোক্রেটরা। শুক্রবার সেই বিলের ওপর ভোট হয়। এতে ৫৩-৪৭ ভোটে বিলটি বাতিল হয়ে যায়। উল্লেখ্য, এ মাসেই একতরফা একক সিদ্ধান্তে ইরান যুদ্ধে ইসরাইলের সঙ্গে হাত মেলায় যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা চালায়। এর প্রেক্ষপেটে ওই প্রস্তাব উত্থাপন করে ডেমোক্রেটরা। এ নিয়ে সিনেট ফ্লোরে কংগ্রেসের যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা নিয়ে তীব্র বিতর্কও হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউ ইয়র্ক টাইমস।
প্রস্তাবটি আনেন ভার্জিনিয়ার ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর টিম কেইন। বিলটি ১৯৭৩ সালের ওয়ার পাওয়ার্স অ্যাক্ট বা যুদ্ধক্ষমতা আইনের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এর লক্ষ্য ছিল প্রেসিডেন্টের একক ক্ষমতায় যুদ্ধ শুরু করার সীমাবদ্ধতা তৈরি করা। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, ট্রাম্পকে ভবিষ্যতে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন সামরিক পদক্ষেপ নিতে চাইলে প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের অনুমোদন নিতে হবে। সপ্তাহের শুরুতে কেইন বলেন, প্রস্তাব গৃহীত হলে তিনি এর ভাষায় এমন সংশোধন আনতেন যাতে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বজায় থাকে এবং ইসরাইলের প্রতি মার্কিন প্রতিশ্রুতিতে কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে।
তবু প্রস্তাবটি সফল হওয়ার খুব একটা সুযোগ ছিল না। কারণ রিপাবলিকান প্রভাবিত কংগ্রেসে ট্রাম্পের ইরানবিরোধী হামলাকে বেশিরভাগ আইনপ্রণেতাই সমর্থন করেন। সিনেটর কেইন বলেন, যুদ্ধ এত বড় ও ভয়াবহ বিষয় যে তা এক ব্যক্তির মর্জি, আবেগ কিংবা দৈনন্দিন মুডের উপর ছেড়ে দেয়া যায় না। প্রস্তাবের সমর্থকরা ট্রাম্পের সেই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেন যে, এই সীমিত হামলা যুদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নয়। মেরিল্যান্ডের ডেমোক্রেট সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন বলেন, ধরুন, ইরান আমাদের আকাশসীমায় বোমারু বিমান পাঠিয়ে আমাদের কোনো স্থাপনায় হামলা চালালো। আমরা তো নিশ্চয়ই একে সরাসরি যুদ্ধ বলেই বিবেচনা করতাম।
ইরানে মার্কিন হামলার আগেই ডেমোক্রেটরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু করে বসবেন কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া। যা ৯/১১-পরবর্তী যুগে দুই দলীয় প্রেসিডেন্টরাই কোনো না কোনোভাবে করেছেন। তবে রিপাবলিকানরা ট্রাম্পের ক্ষমতা সীমিত করার চেষ্টাকে রাজনৈতিক খেলা হিসেবে দেখেন। সিনেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রিপাবলিকান নেতা জন ব্যারাসো বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়গুলো খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়। তাই আমাদের সংবিধানে বলা আছে- কমান্ডার ইন চিফকে সত্যিকার ক্ষমতা দিতে হবে।
পাঠকের মতামত
অস্ত্রের জোরে সারা দুনিয়ায় কোটি কোটি মানুষকে হত্যা করার লাইসেন্স আমেরিকা নিজে নিজেই নিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন দেশে যা খুশি তাই করছে। এই পৃথিবীর মেয়াদ খুব শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে না। শক্তির ভারসাম্য আসবেই। একদিন না একদিন যে অমানুষিক নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড আমেরিকা ও তার দশকরা দোসরা এ দুনিয়াতে করছে তার ফল একদিন তাদেরও ভোগ করতেই হবে। হবেই হবে