বিশ্বজমিন
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ট্রাম্পের নির্বাহী ক্ষমতা আরও বাড়লো
মানবজমিন ডেস্ক
(১১ ঘন্টা আগে) ২৮ জুন ২০২৫, শনিবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:২৭ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। এ রায় শুধু তার নয়, ভবিষ্যতের সব প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতাকে অনেক বেশি সম্প্রসারিত করবে। নির্বাহী আদেশে নিম্ন আদালতগুলোর স্থগিতাদেশ দেওয়ার ক্ষমতা সীমিত করে দেয়া হয়েছে ওই রায়ে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি|
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, এটি একটি বিশাল, অভাবনীয় সিদ্ধান্ত। সংবিধান, ক্ষমতার বিভাজন ও আইনের শাসনের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক বিজয়। এই রায়ের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিকগুলোর একটি হলো ট্রাম্পের বহুল আলোচিত জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশ এখন কার্যকর হওয়ার পথে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যে আদেশটি কার্যকর হবে— যদিও নিম্ন আদালত এখনো নির্দিষ্ট কিছু বাদী পক্ষের ক্ষেত্রে এর প্রয়োগে সীমাবদ্ধতা আনতে পারবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা কোনো শিশুর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ বাতিল করা হবে। যদিও এটি বাস্তবায়নে অনেক জটিলতা আছে। কারণ, রাজ্য সরকারগুলো সাধারণত জন্মসনদ দিয়ে থাকে। তাতে বাবা-মার নাগরিকত্ব উল্লেখ করা হয় না।বিশেষ করে ডেমোক্রেট-শাসিত রাজ্যগুলো এই পরিবর্তনে আগ্রহী নাও হতে পারে। রায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের পক্ষে বিচারপতি অ্যামি কোনি ব্যারেট নিম্ন আদালতগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন, আদেশটির প্রয়োগ রোধে কোনও ‘সীমিত নিষেধাজ্ঞা’ যথাযথ হবে কি না, তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় শুধু জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নয়, আরও অনেক ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ক্ষমতার পরিধি বাড়িয়ে দিয়েছে। পূর্বে নিম্ন আদালতের নির্দেশে ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশি সহায়তা হ্রাস, বৈচিত্র্য কর্মসূচি বন্ধ, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এবং ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, এখন আমরা সঠিকভাবে আমাদের নীতিগুলো আবার এগিয়ে নিতে পারব, যা আগে ভুলভাবে স্থগিত করা হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, নিম্ন আদালতগুলোকে এখন দ্রুতগতিতে নিশ্চিত করতে হবে যে প্রতিটি বাদীর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাগুলো এই রায়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং ন্যায়বিচারের মূলনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সময় রিপাবলিকান মনোনীত বিচারকরা ছাত্র ঋণ মওকুফ, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং অভিবাসন নীতিমালার পরিবর্তন আটকে দিয়েছিল। ওবামার সময়ও আদালত একইভাবে কিছু নির্বাহী আদেশ রোধ করেছিল— যেমন: অভিবাসীদের ওভারটাইম সুবিধা বা বৈধতা প্রদান।
এই রায়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতের প্রেসিডেন্টরা— যে দলেরই হোন না কেন— বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অনেক বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।