চীন-যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর

চীনের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যার মাধ্যমে বাণিজ্য যুদ্ধের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল তার অবসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা হিসেবে একটি বাণিজ্য চুক্তি করেছে উভয় দেশ। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ট্রাম্প। তবে চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, জেনেভা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য একটি কাঠামোগত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতায় আসার পরই চীনকে লক্ষ্য করে একের পর এক বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। বেইজিংয়ের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন। অবশ্য চীনও যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড় দেয়নি। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারাও মার্কিন পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে। এতে দুই দেশের মধ্যে কার্যত বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়। বিশ্ব বাণিজ্যে দেখা দেয় অস্থিরতা। পরে পরিস্থিতি বেসামাল দেখে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন ট্রাম্প। 

গত দুই মাস ধরে বেইজিংয়ের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে ওয়াশিংটন। যার মাধ্যমে বাণিজ্য যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই চুক্তির মাধ্যমে চীনের কাছ থেকে বিরল খনিজ পদার্থ আমদানি ত্বরান্বিত করতে পারবে তারা। জেনেভা চুক্তির অধীনে নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা নিরসনে ৯০ দিনের জন্য বৃহৎ শুল্ক বৃদ্ধি স্থগিত করে বিশ্ব অর্থনীতির বৃহৎ এ দুই দেশ। পরে লন্ডনে এ নিয়ে আলোচনার সময় একটি কাঠামো নির্দিষ্ট করা হয়। যার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ টিভিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দুই দিন আগে এ চুক্তি হয়েছে। তবে তিনিও চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। শুক্রবার চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে চীন জানিয়েছে, আইন মেনে পণ্যের রপ্তানি আবেদন অনুমোদন করবে তারা। তবে বিরল খনিজ পদার্থের বিষয়ে কিছু জানায়নি বেইজিং।