বিশ্বজমিন
দ্য হিন্দুর রিপোর্ট
বাংলাদেশের চলমান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী ভারত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মানবজমিন ডেস্ক
(৮ ঘন্টা আগে) ২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘উপযুক্ত পরিবেশে’ বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়েই আলোচনা করতে প্রস্তুত ভারত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত কূটনৈতিক পদ্ধতি আছে, যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব দিক মোকাবিলা করা যায়। এই মন্তব্যটি এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ভারতের পার্লামেন্টে পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটি ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ’ নিয়ে আলোচনার জন্য চারজন বিশেষজ্ঞকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিন্দু।
সূত্র দ্য হিন্দুকে জানিয়েছে যে, এই বিশেষজ্ঞরা হলেন— সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম হাশনাইন, ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অমিতাভ মাত্তু। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনার জন্য আমরা প্রস্তুত, যদি তা পারস্পরিক উপকারে উপযোগী পরিবেশে হয়। তিনি এই মন্তব্য করেন ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে। আরও একটি প্রশ্নের জবাবে— যেখানে বাংলাদেশ ১৯ জুন পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক পরামর্শ সভায় অংশ নেয়— সে প্রসঙ্গে জয়সওয়াল বলেন, আমরা আমাদের আশপাশের অঞ্চলের উন্নয়ন এবং সেগুলো ভারতের স্বার্থ ও নিরাপত্তার ওপর কী প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়ে নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি করি। আমাদের প্রতিটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বতন্ত্র হলেও, সেই সম্পর্কগুলো পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের আলোকে বিবেচিত হয়।
এই মন্তব্যটি এসেছে সংসদীয় কমিটির বাংলাদেশ বিষয়ক বিশেষ আলোচনার ঠিক এক দিন আগে। প্রাথমিক প্রস্তুতিপত্র অনুযায়ী, আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে যে বিষয়গুলোতে মতামত চাওয়া হবে তা হলো— ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ধর্মীয় উগ্রপন্থার উত্থান, বাংলাদেশের অস্থিরতা থেকে ভারতের নিরাপত্তা হুমকি এবং ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ-চীনের ‘কৌশলগত সখ্যতা’ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ।
পাঠকের মতামত
Hasina কে ফেরত দিন।
Bangladesh should also discuss about internal issue of India.
বাংলাদেশ সম্পর্ক ভালো করতে চায় পারস্পরিক শ্রদ্ধা, লাভ ইত্যাদির ভিত্তিতে। হাসিনা র মত না।রেন্ডিয়াকে সব দাও।আমার চাই খমতা।
উপযুক্ত পরিবেশ টা কখন আসবে? আগে হাসিনাকে ফেরত দেন। তারপর আলোচনা
হটাৎ করে ভারতের শুর নরম আব আয়া লাইন পে
এই আলোচনার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভারতকে ৪টি বিষয় পরিস্কার করা উচিত - ১) বাংলাদেশের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিতে নাক গলানো যাবেনা ২) ন্যয্যতার ভিত্তিতে অভিন্ন নদীসমুহের পানি বন্টনের ব্যবস্থা করতে হবে ৩) ভারতে আশ্রয় নেয়া হাসিনা সহ অন্যান্য অপরাধিদের বিচারের জন্য ফেরত দিতে হবে ৪) সীমান্ত হত্যা এবং অবৈধ পুশ ইন বন্ধ করতে হবে।
মি. রণধীর জয়সওয়াল, বাংলাদেশের চলমান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী হওয়ার আপনার দরকার নাই।
ভারতের মতে, উপযুক্ত উপকারী পরিবেশ পেলে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বসবে। সেটাতো হাসিনা আবারো প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে না বসলে হবে না। কিন্তু সেটাতো সোনা, আপাতত হচ্ছে না। অন্য টা বলি। ভারত মনে করে হাসিনা মানে বাংলাদেশ। সেটাতো তাদের হাতেই আছে। তাহলে বসার দরকার কি।
Karap kunu uddesso aseh
আসসালামু আলাইকুম। আমি মনে করি ভারতের পলিসি আমাদের দেশের জন্য মোটেও শুভকর নয়। তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এত অপতৎপরতা চালাচ্ছে তাতে আমাদের সাথে তাদের সম্পর্কের উন্নতি আশা করা যায় না। বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক এখন অবিশ্বাস ও শঠতার। আমাদের প্রতি হেন আচরণে আমরা তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রকৃত মর্যাদা পাবে। ধন্যবাদ।