বিশ্বজমিন
কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা বাতিলের ঘোষণা ট্রাম্পের
মানবজমিন ডেস্ক
(১১ ঘন্টা আগে) ২৮ জুন ২০২৫, শনিবার, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:২৭ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ঘোষণা দিয়েছেন যে, কানাডার সঙ্গে সবধরনের বাণিজ্য আলোচনা তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। কানাডা বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর নতুন কর নীতিমালা চালু করতে যাচ্ছে। এ কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, আমরা এই মুহূর্ত থেকে কানাডার সঙ্গে সকল বাণিজ্য আলোচনা বাতিল করছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে জানানো হবে কানাডা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করতে কী পরিমাণ শুল্ক দেবে।
বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে কানাডার শতকরা ৩ ভাগ ডিজিটাল সার্ভিসেস ট্যাক্স, যা অ্যামাজন, অ্যাপল, গুগলসহ বড় মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বছরে ২ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত খরচ তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই কর আইনটি গত বছর কার্যকর হলেও, প্রথম পেমেন্ট দেয়া শুরু হবে আগামী সোমবার থেকে। কানাডা আশা করেছিল, চলমান বাণিজ্য আলোচনার মাধ্যমেই এই বিতর্কের সমাধান সম্ভব হবে। তবে ট্রাম্পের আকস্মিক ঘোষণায় আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সবসময় এই জটিল আলোচনা চালিয়ে যাব কানাডার মানুষের স্বার্থে। তিনি ইঙ্গিত দেন, ট্রাম্পের ঘোষণার পরও কানাডা আলোচনায় ফিরে আসার সুযোগ খোলা রাখবে। কার্নি ও ট্রাম্পের মধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কিছুটা সদ্ভাব গড়ে উঠেছিল, যা আলোচনার জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু ট্রাম্প অতীতেও বারবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দিয়ে পরে তা থেকে সরে এসেছেন। গত মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েও পরে সিদ্ধান্ত বদলান। কানাডিয়ান চেম্বার অব কমার্স-এর প্রধান নির্বাহী কানডেস লেইং বলেন, শেষ মুহূর্তের চমক এখন সাধারণ বিষয় হয়ে গেছে। আলোচনা আগাচ্ছে বলেই আমরা আশা করি।
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা ফ্রি ট্রেড চুক্তি থাকা সত্ত্বেও এই বছর শুরুর দিকে ট্রাম্প কানাডার পণ্যে শতকরা ২৫ ভাগ নতুন শুল্ক আরোপ করেন। তখন তার যুক্তি ছিল, সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি প্রয়োজন। এছাড়া গাড়ি, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর নতুন মার্কিন শুল্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জটিল করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব পণ্য উৎপাদনের সময় একাধিকবার তিনটি দেশের সীমানা পেরিয়ে যেতে হয়। শুল্ক আরোপে এই জটিল চেইন হুমকির মুখে পড়বে। এদিকে, মার্কিন পণ্যেও কানাডা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। ব্যবসায়িক চাপের মুখে পড়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ট্রাম্প আবার শুল্ক থেকে ছাড়ও দিয়েছেন। শুক্রবার ট্রাম্পের ঘোষণার পর ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ারের দাম পড়ে যায়। তবে পরবর্তীতে বাজারে আস্থা ফিরে আসে এবং এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক সর্বোচ্চ রেকর্ডে পৌঁছায়।