বিশ্বজমিন
খামেনির বিরুদ্ধে ট্রাম্প
পরমাণু কর্মসূচি শুরু হলে ইরানকে আবার বোমা মেরে উড়িয়ে দেব
মানবজমিন ডেস্ক
(১২ ঘন্টা আগে) ২৮ জুন ২০২৫, শনিবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:১৩ অপরাহ্ন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। ইসরাইল-ইরান ১২ দিনের যুদ্ধের পর খামেনির বিজয় দাবিকে ‘মিথ্যাচার ও বোকামি’ বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, ইরান আবার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি চালু করলে ‘নিশ্চয়ই আবার বোমা মারা হবে’। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
শুক্রবার ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেয়া এক পোস্টে দাবি করেন, তিনিই খামেনিকে ‘অত্যন্ত লজ্জাজনক মৃত্যু’ থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, ‘তার দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে, তার তিনটি অশুভ পরমাণু কেন্দ্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে, আমি জানতাম তিনি কোথায় লুকিয়ে আছেন। কিন্তু আমি ইসরাইল বা মার্কিন বাহিনীকে, যারা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী, তার জীবন শেষ করতে দিইনি।’
এর আগে খামেনি এক বক্তব্যে দাবি করেন, ইরান ‘আমেরিকাকে থাপ্পড় দিয়েছে’। ফরদো, ইসফাহান ও নাতাঞ্জে পরমাণু স্থাপনায় হামলার পাল্টা জবাবে কাতারে অবস্থিত একটি বড় মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি এই দাবি করেন। তবে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ইসরায়েলকে চূড়ান্ত হামলা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, যাতে খামেনির প্রাণ রক্ষা পায়। তবে মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা সূত্র থেকে ফাঁস হওয়া এক প্রতিবেদন ট্রাম্পের বক্তব্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন হামলা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।
ট্রাম্প আরও জানান, খামেনির ঘৃণা ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের পর তিনি ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার চিন্তাভাবনা বাতিল করেছেন। এর ফলে দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার আরও কঠিন হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, যদি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি থামানো না যায়, তাহলে তিনি নতুন করে হামলার ব্যাপারে সন্দেহাতীতভাবে আগ্রহী। তিনি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বা সমতুল্য কোনো সংস্থাকে ইরানি স্থাপনাগুলো পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়ার কথাও বলেন।
অন্যদিকে, ইরানের পার্লামেন্ট একটি বিল পাস করে আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা হামলার সরাসরি প্রতিক্রিয়া বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, আইএইএ মহাপরিচালক গ্রোসি পরিদর্শনের যে অনুরোধ জানাচ্ছেন তা অর্থহীন এবং হয়ত ষড়যন্ত্রমূলক, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। তিনি স্পষ্ট করেন, ইরান নিজস্ব সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ জানিয়েছেন, তার দেশ এখনো ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক প্রস্তুতিতে রয়েছে। তিনি সেনাবাহিনীকে বিস্তারিত প্রয়োগ পরিকল্পনা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে ইরানের পরমাণু অগ্রগতি, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সমর্থনের জবাব দেওয়া যায়। এর আগে কাটজ বলেন, ইসরাইলের ইচ্ছা ছিল খামেনিকে নিশ্চিহ্ন করা, এবং সেই সিদ্ধান্তে তারা মার্কিন অনুমতির প্রয়োজন মনে করেনি।
পাঠকের মতামত
একথা গুলো শুনে চীন রাশিয়া তোমরা কি কিছুই বলবে না নাকি।