বাংলারজমিন
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল
মাদারীপুর প্রতিনিধি
২৮ জুন ২০২৫, শনিবার
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে একটি ঝটিকা মিছিল হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর শহরের সরদার কলোনির সড়ক থেকে মিছিলটি বের হয়ে ডা. তোতা সড়কে গিয়ে শেষ হয়। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মিছিলে ২৬-২৮ জন তরুণ ও কিশোর বয়সী ছেলে অংশগ্রহণ করে। তাদের সবার মুখে মাস্ক ও একজনের মাথায় হেলমেট ছিল। ছাত্রলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর একাধিকবার মিছিল করেছে মাদারীপুরে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মিছিলের আয়োজন করে জেলা ছাত্রলীগ। এর আগেও জেলা শহরে তিনবার ঝটিকা মিছিল করে তারা। তবে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। এদিকে, মিছিলের ভিডিও রাত ১২টার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়া ৩৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা ও মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খানের ছবিসহ শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার হাতে নিয়ে শহরের একটি সড়কে মিছিল করছেন কয়েকজন তরুণ। তারা ব্যানার হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন আর স্লোগান দিচ্ছেন। ব্যানারের মাঝে লেখা ছিল, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও অবৈধ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরদার কলোনির একাধিক বাসিন্দা বলেন, এই কলোনির মাঝেই মাদারীপুরের ডিসি, এসপি ও জেলা জজের সরকারি বাসভবন। এই আবাসিক এলাকার সড়কেই ছাত্রলীগ মিছিল করেছে। শেখ হাসিনা বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে, অবৈধ সরকার, মানি না মানবো না। এমন নানা ধরনের স্লোগান দেয় মিছিলকারীরা। জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন হাওলাদার বলেন, পুলিশের আরও কঠোর ভূমিকা পালন করা উচিত যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা করতে না পারে। জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান বলেন, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে মিছিল করার সাহস পেয়েছে। এর আগেও ছাত্রলীগ মিছিল করেছে। অথচ তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ। পুলিশের ভূমিকা না থাকার কারেণই এমন হচ্ছে। ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হলেও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয় পুলিশ। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি আদিল হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কোনো ঝটিকা মিছিল হয়েছে কিনা জানা নেই। তারা লুকিয়ে শহরের নির্জন বা অলিগলিতে চোরের মতো করে থাকতে পারে। যেহেতু আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সকল সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, কাজেই এ ধরনের মিছিল বেআইনি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।