কানাইঘাটে ভারতীয় চা-পাতা ও কসমেটিক্স চালান জব্দ, আটক ৩

সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশের অভিযানে ৬৯ বস্তা ভারতীয় চা-পাতা আটক করা হয়েছে। একদল পুলিশ উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের মীরমাটি গ্রামের প্রবাসী শরিফ উদ্দিনের বসতবাড়ির পাকা ঘরের দু’টি কক্ষে অভিযান চালায়। অভিযানকালে বসতঘর থেকে ৬৯ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চা-পাতা ও কসমেটিক্সসহ জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু বেলুপাড়া গ্রামের মৃত ইসাক আলীর পুত্র আলমগীর হোসেন, একই গ্রামের মকবুল আলীর পুত্র মুখলেছুর রহমান ও আব্দুল্লাহ’র পুত্র আব্দুল মন্নান নামে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। তাদেরকে জব্দ চা-পাতা, কসমেটিক্সসহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 
জানা গেছে, প্রবাসী শরিফ উদ্দিনের বসত বাড়ির দু’টি কক্ষ ভাড়া নিয়ে চোরাকারবারিরা চোরাই পণ্য মজুত করে আসছিল। কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, চোরাচালানের বিরুদ্ধে পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে বলে তিনি জানান। স্থানীয় অনেকে জানান, জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজারের চোরাকারবারিদের আস্তানা সেনাবাহিনী দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর সে এলাকার অনেক চোরাকারবারি কানাইঘাট-গাছবাড়ী-হরিপুর সড়ক ব্যবহার করে কানাইঘাটের গাছবাড়ী, ঝিঙ্গাবাড়ী, রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের হাট-বাজারে কিছু দোকানঘর ও বসতবাড়ির ঘর ভাড়া নিয়ে ভারতীয় চিনি ও চা-পাতাসহ অন্যান্য চোরাই পণ্য মজুত করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিল। হরিপুরের চোরাকারবারিদের সঙ্গে ওই এলাকার আরও বেশ কিছু চোরাকারবারি সংঘবদ্ধ হয়ে চোরাচালান ব্যবসা জমজমাট ভাবে চালিয়ে আসছে। 
তারা আরও জানান, মীরমাটি গ্রামের শরিফ উদ্দিন প্রবাসে থাকেন, বাড়িতেও কেউ থাকে না, তার বাড়ির দু’টি কক্ষ ভাড়া নিয়ে কয়েক মাস থেকে ভারতীয় চোরাই পণ্য মজুত করে চোরাকারবারিরা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এলাকার সচেতন মহল চোরাচালান কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়ায় চোরাকারবারিরা কয়েকজনকে প্রাণনাশের হুমকিও প্রদান করে। থানা পুলিশের অভিযানে চা-পাতার চালান আটক হওয়ায় স্থানীয় লোকজন সাধুবাদ জানিয়েছেন। চোরাচালান ব্যবসার সঙ্গে জড়িত চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানান তারা।