ঢাকা, ২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

টাকার নেশায় একের পর এক সংসার ভাঙেন সালমা

ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
mzamin

টাকার নেশায় একের পর এক সংসার ভাঙার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। মা লাভলী আক্তারের প্ররোচনায় এসব কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত গৃহবধূ সালমা আক্তার ঝুমা উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী মহেশপট্টি গ্রামের বাসিন্দা ও চান মিয়ার মেয়ে। জানা যায়, অভিযুক্ত গৃহবধূ সালমা পাঁচ বছরে করেছেন চার বিয়ে। আদালতে মামলা করে স্বামীর পরিবারের কাছ থেকে আদায় করেন মোটা অংকের টাকা। ফলে টাকার নেশায় একের পর এক সংসার ভাঙার খেলায় মেতে উঠেছেন তিনি। অপরদিকে, বরপক্ষের পরিবাররা শিকার হচ্ছেন হয়রানির। চার বিয়ের কাবিননামা থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে প্রথম বিয়ে করেন ধোবাউড়া উপজেলার নগরসন্তুষ গ্রামের তাজত আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলামকে। কিছুদিন যেতে না যেতেই নানা অজুহাতে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি করেন তিনি। 

রাশেদুলের বাবা তাজত আলী অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরিব মানুষ কিন্তু আমার ছেলের বউ মামলা দিয়ে অনেক হয়রানি করেছে। সে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। তার কাছ থেকে বাঁচতে কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে টাকার বিনিময়ে নিষ্পত্তি করেছি। এরপর ২০২১ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন গোয়াতলা মসজিদের মোয়াজ্জেন হাবিবুল্লাহকে। এখানেও একই পন্থায় স্বামীর সঙ্গে কলহ সৃষ্টি করে মামলা-মোকদ্দমা করেন। অবশেষে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ভেঙে দেন এই সংসারটি। তৃতীয় বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার আব্দুল হামিদের ছেলে বিপ্লবকে। কিছুদিন পরে বিপ্লব এবং তার পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি করেন। কিন্তু ছেলেপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় তার সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে স্বেচ্ছায় আদালতের মাধ্যমে ছেলেকে তালাক দেন সালমা। এরপর চলতি বছরের ১৭ই জানুয়ারি চতুর্থ বিয়ে করেন ধোবাউড়া উপজেলার বলরামপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমানকে। কিন্তু বিয়ের ছয় মাস না যেতেই শুরু হয় কলহ। নোমান ও তার পরিবারকে আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সালমা। মামলা দেয়ার আগে মোবাইল ফোনে টাকা দিয়ে নিষ্পত্তি করার হুমকি দেয়া হয়। 

এ ব্যাপারে নোমানের বাবা মজিবুর রহমান বলেন, এই মেয়ের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। মেয়ের বাবা-মা মেয়েকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নেয়। আমার ছেলেকে ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকায় নিয়ে মানুষ দিয়ে আটকে জোরপূর্বক বিয়ে করেছে। এখন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং টাকা দাবি করছে। এ ব্যাপারে ওই গৃহবধূ বলেন, কারও সঙ্গে বনিবনা না হলে সংসার টিকবে কীভাবে। তাদের সঙ্গে বনিবনা হয়নি বিধায় সংসার টিকেনি।

পাঠকের মতামত

It's a business of beautiful call girl

Abu bakar Siddique
২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৩:৪৯ অপরাহ্ন

নিকাহ- তালাক রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি ডিজিটাল করা হলে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। বিয়ের আগে মেয়ের জন্ম নিবন্ধ নাম্বার / জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার সার্চ দিলেই দেখা যাবে মেয়েটি কুমারী, বিবাহিত নাকি ডিভোর্সী। কতবার বিয়ে করেছে তাও দেখা যাবে।

Jahangir
২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০:০২ পূর্বাহ্ন

এই ধরনের ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। সংবাদ মাধ্যমে খুব বেশী আসেনা। এই সমস্যা সমাধানের বিষয়ে সরকারি ভাবে চিন্তাভাবনা করা দরকার । এক শ্রেণীর মেয়রা এই ধরনের বিয়ে কে টাকা কামানোর হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিচ্ছে।

মোঃ মোদাচ্ছের হোসেন
২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৩৩ পূর্বাহ্ন

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status