ঢাকা, ২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

ছাগলকাণ্ডে তোলপাড় হাটহাজারী

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার

ছাগলকাণ্ডে তোলপাড় হয়েছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা। প্রকল্পের কমিশনভোগীদের স্বজনপ্রীতি, রোগা ও ছোট ছাগল বিতরণের অভিযোগ বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলেরা অনুষ্ঠান বয়কট ও বিক্ষোভ করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। জানা যায়, সরকারি সহায়তার অংশ হিসেবে হালদা নদী পাড়ের বাসিন্দা কয়েকটি ইউনিয়নের ৭১ জন জেলেকে দু’টি করে ছাগল বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ ছাড়া, ছাগলের জন্য একটি ঘর, এককালীন খাদ্য ও ওষুধ বাবদ মোট ২৯ হাজার ২৫০ টাকা বরাদ্দ আসে। এই প্রকল্পে জেলেদের জন্য ২০ লাখ ৭৬ হাজার ৭৫০ টাকার ছাগল সহ উপকরণ বিতরণের বাজেট বরাদ্দ অনুমোদন হয়। জেলেদের অভিযোগ, প্রকল্প চুক্তিতে আট কেজি ওজনের সুস্থ ছাগলের কথা উল্লেখ ছিল। যে ছাগলগুলো বিতরণের জন্য আনা হয়েছিল, সেগুলোর ওজন ছয় কেজির নিচে এবং দুর্বল, মিশ্র জাতের ও অসুস্থ। জানা যায়, প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান ছাগল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ছাগল ও উপকরণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান জনি। আরও উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক, ভেটেনারি সার্জন ডা. প্রবীর কুমার দে, উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা। দক্ষিণ মাদার্শার মাদারীকুল জেলেপাড়ার বাসিন্দা শিমুল জলদাস বলেন, ছাগলগুলো একেবারেই দুর্বল। অনেকগুলোর গায়ে ঘা। স্থানীয় বাজারে এমন দু’টি ছাগলের দাম সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা হতে পারে। ঘরটাও খুবই নিম্নমানের। তাই আমরা ছাগল না নিয়েই ফিরে এসেছি। গড়দুয়াড়া হালদা পাড়ের বাসিন্দা জেলে মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সবাই বলছি ছাগলগুলো আমরা নেবো না। তারা বলতেছে আমরা ফ্রিতে দিচ্ছি। আপনারা নেবেন না কেন? আমরা বলতেছি এগুলো বাঁচবে না। কিন্তু এরা উল্টো আমাদেরকে বলতেছে আপনারা চলে যান আপনাদেরকে ছাগল দেবো না।’ 
উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের সৈয়দ আহমদ হাট এলাকার বাসিন্দা মো. হোসেন বলেন, ছাগলগুলো দেখে আমি বলছি এইগুলো বাঁচাতে পারবো না। তখন ওরা বলে, আপনাকে দেবো না, আপনি চলে যান। আপনাকে কোনো টোকেন দেবো না। এই বলে আমাকে ঘণ্টাখানেক দাঁড় করায় রাখছে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, এগুলো আসলে অসুস্থ বলাটা যুক্তিগত না। এখানে একজন ভেটেরিনারির সার্জন ছিলেন। উনি বলেছে, ছাগলগুলোর তেমন কোনো সমস্যা নাই। প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, অফিসিয়াল একটা জটিলতার কারণে আমি আসতে পারিনি। আমরা এখানে ৭১ জনকে ছাগল বিতরণ করেছি। আমি যে ছাগলগুলো ওজনে কম ও অসুস্থ ছিল, সেগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য বলেছি।
 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status