ঢাকা, ২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

সরকারের কাছে ছেলের গুমের বিচার চেয়েছেন যুবদল নেতার মা

ফেনী প্রতিনিধি
২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার

নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে ফেনীতে নির্যাতনবিরোধী মানববন্ধন ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। গতকাল দুপুরে ফেনী প্রেস ক্লাবের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় ছেলের গুমের শিকারে জড়িতদের বিচারের দাবিতে যুবদল নেতার মায়ের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে সভাস্থল। অধিকার, ফেনী ইউনিটের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ সাংবাদিক ফেনী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এ কে এম আবদুর রহিম। অধিকার ফেনী’র ফোকাল পারসন সাংবাদিক নাজমুল হক শামীমের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মানবাধিকার কর্মী শেখ আশিকুন্নবী সজীব।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গুমের শিকার হওয়া যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান রিপনের মা রৌশন আরা। তিনি ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ১১ বছর আগে ২০১৪ সালে আমার ছেলে যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান রিপনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে (র‌্যাব) তুলে নেয়। তবে মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। আজও তার হদিস পাইনি। আমার মতো অভাগা মা গুমের শিকার হওয়া ছেলের বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে ১১ বছরেও মেলেনি বিচার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমার ছেলের গুমের বিচার করবে আমি সেই প্রত্যাশা করি। রিপনের মতো আর কোনো ব্যক্তি যেন গুমের শিকার না হয় সেজন্য রাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার দাবিও জানান মা রৌশন আরা।
নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসের মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রতিটি সরকারের আমলে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। তবে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তা চরম আকার ধারণ করে। গুম করে নির্যাতন, কারাগারে নির্যাতনের ঘটনা ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটে। এ সময় র‌্যাব, পুলিশ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে নির্যাতন, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনাও ঘটে। অধিকার-এর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ই অগাস্ট পর্যন্ত ১৮২ ব্যক্তি নির্যাতনের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে ২০২৪ এর ৯ই অগাস্ট থেকে ২০২৫ সালের ২০শে জুন পর্যন্ত ১০ ব্যক্তি নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন।
অধিকার জানায়, ১৯৯৮ সালের ৫ই অক্টোবর বাংলাদেশ জাতিসংঘ প্রণীত নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশনের ১৪(১) অনুচ্ছেদের ওপর আপত্তি জানিয়ে আন্তর্জাতিক সনদ গ্রহণ করেছে এবং কনভেনশন অনুমোদনকারী প্রতিটি রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জাতীয় আইনে নির্যাতনকে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে সম্মত হয়েছে। তবে বাংলাদেশ কনভেনশনের ২২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নির্যাতনের বিরুদ্ধে গঠিত কমিটির ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পক্ষে আবেদন গ্রহণ এবং নিষ্পত্তি করার ক্ষমতাও স্বীকার করেনি। বাংলাদেশে নির্যাতনবিরোধী আইন পাস হলেও এখন পর্যন্ত কনভেনশনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করা হচ্ছে না।
 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status