বাংলারজমিন
বিকল্প পথে সিলেট
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২২ জুন ২০২৫, রবিবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থেকে লাখাই-হবিগঞ্জ হয়ে বিকল্প পথে সুনামগঞ্জ ও সিলেট। বিদ্যমান অপ্রশস্ত সড়ক প্রশস্ত হলেই মিলবে সুবিধা। কমবে ভোগান্তি। সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সড়কটি হলে ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ যাওয়ার রাস্তা কমবে ৩০ কিলোমিটার। সময় বাঁচবে ১ ঘণ্টা। এরপর পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়ক ধরে সংক্ষিপ্ত পথে সুনামগঞ্জ-সিলেট। তবে ২০২৩ সালে বিদ্যমান এসব সড়ক প্রশস্তকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়নি এখনো। সংশ্লিষ্টরা জানান, সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ সম্পন্ন হলে এটি হয়ে উঠবে ঢাকা থেকে সিলেট চলাচলের বিকল্প আরেকটি সড়ক।
অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ গোলচত্বর, বিশ্বরোডের মোড় ছাড়াও কোনো না কোনো পয়েন্টে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। এতে দীর্ঘ সময় সড়কে থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। বড় ধরনের যানজটের সময় লাখাই-ঢাকা রুটের গাড়িগুলোর পাশাপাশি ঢাকা-সিলেট রুটের গাড়িগুলো বিকল্প এই পথ ব্যবহার করে। কিন্তু সড়কের পাশ কম হওয়ায় এ পথেও সৃষ্টি হয় যানজট। সহজেই বাস-কোচ, ট্রাক চলতে পারে না। সরাইল-লাখাই-হবিগঞ্জ সড়ক বর্তমানে ১৮ ফুট প্রস্তের। নির্বিঘ্নে সব ধরনের যান চলাচলের সুবিধার্থে এটি ৩৫ ফুট করতে চায় সড়ক বিভাগ। সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ১৩ই আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সড়ক পরিবহন উইংয়ের এক সভায় সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-হবিগঞ্জ সড়ক এবং পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কটি ৫ দশমিক ৫ মিটার থেকে ১০ দশমিক ৩০ মিটার প্রশস্তকরণের সিদ্ধান্ত হয়।
সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-হবিগঞ্জ সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৬১.৬৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে ৩৫ কিলোমিটার ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ২৬.৬৫ কিলোমিটার হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগের আওতাধীন। প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ ও সড়ক নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮০ কোটি টাকা। তবে দরপত্র আহ্বানের এক বছরেও ঠিকাদার নিয়োগ করতে পারেনি দুই জেলার সড়ক বিভাগ। ফলে বিলম্বিত হচ্ছে প্রকল্পের কাজ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী সুবাস পুরকায়স্থ জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিকল্প হিসেবে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়ক গুরুত্ব বহন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যা লাইভে আছে। হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, হবিগঞ্জ অংশের কাজের দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়াধীন আছে। দরপত্র অনুমোদন হলে আগামী ২ বছরের মধ্যে সড়কের কাজ সম্পন্ন হবে।
পাঠকের মতামত
স্বাধীনতার ৫২ বছরেও রাজধানী থেকে বিভাগীয় সহরগুলিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই অপ্রতুল। এটা তো শুধু দুর্নীতি নয়, অজোগ্য, অনভিজ্ঞ সচিব বা মন্ত্রলায়ের অপরিকল্পনা এবং মূর্খ, লোভী রাজীনীতিকদের কারণেই হয়েছে। এরা এখনো আছে। রাস্তা, রেল এরা কখনোই আধুনিক এবং প্রয়োজনীয় সক্ষমতায় নিয়ে আসবে না।