বাংলারজমিন
খালা শাশুড়িকে ধর্ষণের পর হত্যা, মূলহোতা গ্রেপ্তার
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
২৫ জুন ২০২৫, বুধবার
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ছালেহা বেগম (৫৪) নামে এক নারীকে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ভাগিন জামাই মো. সেলিম (৪৭)কে ঢাকার আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ী বটতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেলিম কমলনগর উপজেলার কালকিনি ইউনিয়নের চর সামছুদ্দিন এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য দেন থানা পুলিশ। প্রেস ব্রিফিংয়ে কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভাগনী জামাই সেলিম দীর্ঘদিন থেকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় ভাসমান শরবত বিক্রি করতেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাড়িতে বেড়াতে এসে খালা শাশুড়ি ছালেহার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরে গত রোববার (১৫ই জুন) এশার নামাজের পর ছালেহাকে পার্শ্ববর্তী নুরু মিয়া সর্দারের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। ওখানে রাতভর ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ছালেহার সঙ্গে থাকা স্বর্ণের আংটি, কানের দুল ও চেইনসহ স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন দুপুরে ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে সেলিম পলাতক ছিলেন। পরে মোবাইল কল লিস্ট চেক করে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সেলিমকে ঢাকার আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ী বটতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম হত্যার ঘটনা স্বীকার করে এবং লুট হওয়া স্বর্ণালংকার আশুলিয়ার বটতলী এলাকার শুভ জুয়েলার্সের দোকানে বন্ধক রাখেন বলে জানান। মামলার তদন্তের স্বার্থে আমরা ওই জুয়েলার্সের দোকান থেকে স্বর্ণালংকার জব্দ করে থানায় নিয়ে আসি। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ওসি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা একজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। অন্য কেউ জড়িত থাকলে পরে জানানো হবে।