বাংলারজমিন
এক হাজার টাকায় স্ত্রীকে তিনজনের হাতে তুলে দেয় স্বামী, পরে ধর্ষণ শেষে হত্যা
১২ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবারমাত্র এক হাজার টাকার লোভে নিজ স্ত্রী হালিমা (১৭) বেগমকে তিন ধর্ষকের হাতে তুলে দেয় পাষণ্ড ও মাদকসেবী স্বামী রাসেল ওরফে রানা (৩০)। পরে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করে মৃতদেহ ফেলে রাখা হয় খালের ময়লা-আবর্জনার স্তূপে। পুলিশ গত শনিবার (৭ই মে) সকালে হালিমার মরদেহ প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে লাশ শনাক্ত করে ওই রাতেই পুলিশ স্বামী রাসেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা রাশিদা বেগম কলাপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব নৃশংস খবর নিশ্চিত করে রাসেলের সহযোগী শুভ হাওলাদার (২৩), মো. জালাল (৪৫) ও মাসুমকে (২২) গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে আসামিরা জেল হাজতে রয়েছে।
জানা যায়, ঘটনার দিন কলাপাড়া পৌরশহরের রহমতপুর মহল্লার একটি নির্মাণাধীন পরিত্যক্ত ভবনে হালিমাকে আটকে রেখে রাতভর ওই তিন নরপশু পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় হালিমার মুখে কাপড় গুঁজে দেয়া হয়, যেন সে চিৎকার করতে না পারে। একপর্যায়ে হতভাগী নির্যাতনে অচেতন হয়ে পড়লে শ্বাসরোধ করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পরে পাশের ময়লা- আবর্জনার স্তূপে খালের মধ্যে হালিমার মৃতদেহ ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনার দুইদিন পরে স্থানীয়রা দুর্গন্ধ পেয়ে পচনধরা মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইলিয়াস তালুকদার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পাঠকের মতামত
আপনার এখানে কখনোই পোস্ট করতে পারি না। মতামত লিখলে বলে রিভিউ হচ্ছে তারপরে আর পোস্ট হয় না। সমাধান কি জানাবেন প্লিজ
মাদকের বন্ধ করতেই হবে! সেনাবাহিনীর প্রতি অনুরোধ, মাদকের ব্যবসায়ী সব আটকান, দয়াকরে দেশটাকে বাঁচান!!
কোথায় পৌছে গিয়েছে সামাজিক মুল্যবোধ ! মাদকের কারবার কঠিন হাতে দমন করা উচিৎ।
নরপশু স্বামীসহ অন্য সকল অপরাধীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অতিদ্রুত এদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হোক যাতে মানুষ নামের হিংস্র পশুরা আর এধরনের অপরাধ করার সাহস না পাই।