বাংলারজমিন
খুলনায় মরা গরুর ৫ মণ গোশত জব্দ, গ্রেপ্তার ২
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবারখুলনায় মরা গরুর গোশতসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার খুলনা মহানগরীর গল্লামারী এম এ বারী সড়ক থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় গোশত পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর উপজেলার নিকারীপাড়া জলিলপুর এলাকার বাসিন্দা মো. মমিন ও সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন আলীর ক্লাবসংলগ্ন আল আমিন মহল্লার বাসিন্দা তামিম হাওলাদার। বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাডাঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এএসআই মো. আলিম হোসেন সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন গল্লামারী এম এ বারী সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একটি পিকআপ (নম্বর ন-১১-১২৯০) বারী সড়কে প্রবেশ করলে তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি পিকআপ থামিয়ে চালক মো. মমিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, গাড়িতে গরুর চার মণ ৩০ কেজি গোশত রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। এ সময়ে মমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল আমিন মহল্লার বাসিন্দা তামিমের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গোশত চুয়াডাঙ্গা থেকে আনা হয়েছে। মিজানুর রহমান আরও জানান, এরপর ঘটনাস'লে ডেকে নেওয়া হয় তামিমকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গোশতের প্রকৃত মালিকের নাম ও ঠিকানা পুলিশের কাছে জানান। পুলিশ গোশতের প্রকৃত মালিক চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার সাহারেজ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ সময়ে তিনি পুলিশকে জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গরুটি স্ট্রোক করলে জবাই করা হয় এবং ৬৩ হাজার টাকায় গরুর গোশত বিক্রি করা হয়। রাত ৩টার দিকে গোশত নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন।
জানা গেছে, উল্লিখিত আসামিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগাক্রান্ত ও মৃত গরুর গোশত সংগ্রহ করে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খাদ্যনিরাপত্তা আইনের ২০১৩ সালের ৫৮ তফসিলে ক্রমিক নম্বর ১৫-এর ৩৪ ধারায় থানায় মামলা হয়েছে। জব্দ হওয়া গোশত পরীক্ষার জন্য ১ কেজি রাখা হয়েছে, বাকি অংশটুকু আদালতের নির্দেশে ধ্বংস করা হবে।