বাংলারজমিন
আশুলিয়ায় ছুরিকাঘাতে পোশাক শ্রমিক হত্যা, গ্রেপ্তার ১
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবারসাভারের আশুলিয়ায় ছুরিকাঘাতে খোকন মিয়া (২৮) এক পোশাক শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। গতকাল দুপুরে আশুলিয়া থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আরাফাতুল ইসলাম। এর আগে, ১০ই জুন রাতে আশুলিয়ার বগাবাড়ি এলাকায় ছিনতাইকারীর হাতে খুন হন পোশাক শ্রমিক খোকন মিয়া।
নিহত খোকন মিয়া রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া ভাটপাড়া গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার জিরাবো মাদবরবাড়ি এলাকার শামসুলের বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্থানীয় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারী মাসুদ ওরফে জামাই মাসুদ ওরফে রানা (৩৭) নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার জামধলা গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। সে আশুলিয়ার বাইপাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করতো। পুলিশ জানায়, গত ১০ই জুন ভোররাত তিনটার দিকে গ্রামের বাড়ি রংপুর থেকে বাসে করে আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে নামেন পোশাক শ্রমিক খোকন ও তার স্ত্রী জাহিদা খাতুন। পরে তারা পায়ে হেঁটে বাইপাইল বগাবাড়ি এলাকার সুজুকি জাপান বাইক সিটির সামনে পৌঁছলে তাদের গতিরোধ করে পেশাদার ছিনতাইকারী মাসুদ ওরফে জামাই মাসুদ ওরফে রানা। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ছিনতাই করলে মাসুদকে জাপটে ধরে খোকন। এ সময় ছিনতাইকারী মাসুদ তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে খোকনকে আঘাত করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় পোশাক শ্রমিক খোকনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ খোকনের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
পুলিশ আরও জানায়, ঘটনার পরের দিন নিহতের স্ত্রী জাহিদা খাতুন ওরফে বন্যা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার বাইপাইল এসএ পরিবহনের গলি থেকে ছিনতাইকারী মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে, এসএ পরিবহনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানের নিচ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছে। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির, আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেনসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।