বাংলারজমিন
অভিনেতা সমু চৌধুরীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে
(২০ ঘন্টা আগে) ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৩:৩৯ অপরাহ্ন

জনপ্রিয় অভিনেতা সমু চৌধুরীকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। সমু চৌধুরীকে তার খালাতো ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাগলা থানার ওসি মো. ফেরদৌস আলম। এর আগে বুধবার (১১ জুন) রাত ৯টার দিকে ঢাকা থেকে একজন পাঠাও মোটরসাইকেল রাইডারের মাধ্যমে উপজেলার পাগলা থানাধীন মশাখালী ইউনিয়নে অবস্থিত মুখী শাহ্ মিসকিনের মাজারে আসেন সমু চৌধুরী।
পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে মাজারের পাশে একটি গাছের নিচে গামছা পরে সমু চৌধুরীর শুয়ে থাকার ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে প্রথমে খালি গায়ে গামছা পরা অবস্থায় সমু চৌধুরীকে দেখা যায়। পরে অবশ্য ট্রাউজার ও গেঞ্জি পরা অবস্থায় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সামনে তাকে কথা বলতে শোনা যায়। অস্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধারের পর তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে ধারণা করে সবাই।
এদিকে সমু চৌধুরীকে এমন অবস্থায় দেখতে পেয়ে ভিড় জমায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে পুলিশের অনুরোধেও থানায় যাননি সমু চৌধুরী। এমতাবস্থায় পুলিশের পাশাপাশি মাজার প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনী অবস্থান নেয়। এসময় সমু চৌধুরী সবার সঙ্গে বলতে থাকেন-তিনি সুস্থ আছেন। সারারাত মাজারে ধ্যানে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে একা একা হাঁটতে হাঁটতে পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রক্ষপুত্র নদে গোসল করেছেন। গোসল করে গামছা পড়ে গাছতলায় শুয়ে ছিলেন। এরমধ্যে কে বা কারা ছবি তুলে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।
সমু চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন এম আবদুল্লাহ-আল-মামুন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তা জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন সেখানে উপস্থিত হন। দিনব্যাপী আলোচনায় থাকা সমু চৌধুরীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন কথা জানতে চান চিকিৎসক। সমু চৌধুরী জানান, তিনি এর আগেও এই মাজারে আরও ৩-৪ বার এসেছিলেন। তিনি মুখী শাহ্ মিসকিনের ভক্ত। এছাড়াও সমু চৌধুরী অন্য সব কথাবার্তাও ঠিকঠাক বলার পর রাতে চিকিৎসক জানিয়ে দেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন। তবে সমু চৌধুরীকে কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
এ বিষয়ে পাগলা থানার ওসি মো. ফেরদৌস আলম বলেন, শেষ রাতে সমু চৌধুরীকে তার খালাতো ভাই অপুর কাছে হস্তান্তর করেছি। এসময় অভিনয় শিল্পী সংঘের কয়েকজন সঙ্গে ছিলেন।