বাংলারজমিন
কিশোরগঞ্জে সংযোগ সড়কবিহীন অকেজো ৩ সেতু
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
১৪ জুন ২০২৫, শনিবারনীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ৩টি সেতু নির্মাণের ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় জনগণের কোনো কাজে আসছে না। এতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধে সরকারের কোটি টাকা অপচয়ের অভিযোগ উঠেছে। সরজমিন জানা যায়, উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের সবুজপাড়া গ্রাম সংলগ্ন বুল্লাই নদীতে ২০১৬ সালে ব্রিজটি নির্মিত হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তর ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ব্রিজ নির্মাণ করেন। কিন্তু ব্রিজটির উপর দিয়ে চলাচলের জন্য দুই পাশে কোনো সংযোগ সড়ক নেই। শুকনো মৌসুমে জমির আইল দিয়ে পায়ে হেঁটে ব্রিজে উঠতে হয়। বর্ষা মৌসুমে ব্রিজের দু’পাশে পানি থই-থই করায় জমির আইল ডুবে থাকে। দোলায় নেমে কোমড় পানি পাড়ি দিয়ে কেউ ব্রিজে উঠে নদী পারাপার হয় না। তখন সড়কবিহীন অকেজো ওই ব্রিজটি চারদিকে পানির মাঝে একাকি দাঁড়িয়ে রয়। এদিকে পুটিমারী ইউনিয়নের মন্থনা মাঠিয়ালপাড়া গ্রামের ভাঙ্গার খালের উপর ২০১৭ সালে ব্রিজটি নির্মিত হয়। ত্রাণ অধিদপ্তর ৩১ লাখ টাকায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ব্রিজটি নির্মাণ করেন। কিন্তু ব্রিজের দু’পাশে নেই সংযোগ সড়ক। চারপাশে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। মাঝখানে ঠাঁই হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ব্রিজটি। উত্তর দিকে নামে মাত্র সরু রাস্তা থাকলেও ব্রিজের অপর প্রান্তে হিন্দুপাড়া পর্যন্ত রাস্তার কোনো অস্তিত্ব নেই। ফলে দোলা থেকে কৃষককেরা ফসল ও সার আনা-নেয়া করতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়। এ ছাড়া বাহাগিলীর কাল্টার মাল্লীর সেতুটিও ওই দপ্তরের অধীন প্রায় ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালে নির্মিত হয়। সেতুটির পশ্চিম দিকে কোনো সংযোগ সড়ক না থাকায় অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এজন্য ব্রিজসংলগ্ন এলাকার লোকজনের অভিযোগ ব্রিজ ৩টি কোনো কাজে না লাগায় এ যেন সরকারি অর্থ বরাদ্দের অনর্থক অপচয় মাত্র।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান জানান, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। ওই ৩টি সেতু অনেক আগের নির্মিত। এতদিনে কেন সংযোগ সড়ক হয়নি, রাস্তা নির্মাণের জন্য জমি নিয়ে কোনো সমস্যা আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।