বাংলারজমিন
সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ, বাধা দেয়ায় কেয়ারটেকারকে হুমকি
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
১৫ জুন ২০২৫, রবিবারময়মনসিংহের ভালুকায় প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারি রাস্তার প্রায় আট লাখ টাকা মূল্যের ৬০টি সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাছ কাটতে বাধা দেয়ায় গাছের কেয়ারটেকারকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কেয়ারটেকার।
লিখিত অভিযোগ ও সরজমিন জানা যায়, প্রায় দুই দশক আগে এলজিইডি কর্তৃক মামারিশপুর-মল্লিকবাড়ী সড়কের ৯ নম্বর এলাকার দুই পাশে প্রায় ৭ শতাধিক আকাশমণি ও মেহগনি গাছের চারা রোপণ করে। এসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয় স্থানীয় স্বপন মিয়ার স্ত্রী মোর্সেদা খাতুনকে।
মোর্সেদা খাতুন ও স্থানীয়রা বলেন, মো. সাদিক মিয়া ও মো. কামরুল খানসহ কয়েকজনে কয়েকদিনে প্রায় ৬০টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, প্রায় বিশ বছর বয়সী গাছগুলোর মূল্য আনুমানিক ৮/৯ লাখ টাকা। ১১ই জুন মোর্সেদা খাতুন গাছ কাটতে বাধা দিলে তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান করে। এ ব্যাপারে মোর্সেদা খাতুন বাদী হয়ে ৯ নম্বর বাঁধ এলাকার আব্দুল আওয়ালের ছেলে মো. সাদিক মিয়া ও মান্নান খানের ছেলে মো. কামরুল খানকে বিবাদী করে ভালুকা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাটা গাছগুলো স্থানীয় ইউপি সদস্য’র জিম্মায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
১৩ই জুন সন্ধ্যায় সরজমিন গাছগুলো না পেয়ে, সেগুলো কোথায় জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল বলেন, সরকারি রাস্তার পাশ থেকে বেশ কিছু গাছ কেটে নেয়া হয়েছে। কিছু গাছ আমার জিম্মায় রাখা হয়েছিল, তবে বৃহস্পতিবার (১২ই জুন) রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সেগুলোও চুরি করে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। অভিযুক্ত মো. সাদিক বলেন, গাছ কাটার সঙ্গে আমি জড়িত নই। কে বা কারা কেটেছে আমার জানা নেই।
ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, গাছ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক নারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাটস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। গাছের মূল মালিক অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে গাছগুলো স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তদন্তপূর্বক পরিবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।