সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে স্বস্তি

 পিরোজপুরের নেছারাবাদে ঢাকাগামী যাত্রী পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ভাড়া রেখে নিয়মিত সময়ে বাস সার্ভিস চালু দিতে না পারায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপজেলা সেনা ক্যাম্পের একটি দল ওই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সরকার নির্ধারিত ভাড়া রেখে বাড়তি ভাড়া যাত্রীদের ফেরত প্রদান, টিকিট বিক্রি করেও নিয়মিত সময়ের মধ্য বাস সার্ভিস দিতে না পারায় টিকিট মূল্য ফেরত দেয়া হয়েছে। এ সময় কাউন্টারের অন্য বাস কাউন্টার মালিকদের সতর্ক করা হয়।
কাউসার মাহামুদ নামে এক যাত্রী অভিযোগ করেন, তিনি ঢাকা যাওয়ার জন্য উপজেলার স্টার ডিলাঙ নামক একটি বাস কাউন্টার থেকে ৮০০ টাকার বিনিময়ে একটি টিকিট কাটেন। বিকালে গাড়ি ছাড়ার কথা ছিল। সন্ধ্যার পরেও সেই বাস আসেনি। পরে সেনাবাহিনী আসলে কাউন্টার মালিক পালিয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে আমরা টিকিটের মূল্য ফেরত পেয়েছি। উজ্জ্বল সাহা এক যাত্রীর অভিযোগ, আমি ঢাকা যাওয়ার জন্য যমুনা লাইন পরিবহন থেকে এক হাজার টাকায় একটি টিকিট ক্রয় করেছিলাম। আমার মতো এই গাড়ির অনেক যাত্রীরা এক হাজার টাকায় টিকিট কিনেছিলেন। পরে সেনাবাহিনী এসে আমাদের কাছ থেকে রাখা অতিরিক্ত ২০০ টাকা ফেরত দিতে বলেছেন। আমরা অতিরিক্ত টাকা ফেরত পেয়েছি।
কাউন্টার মালিকরা বলেন, ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। এ সময় গাড়ি মালিকরা বেশি টাকা চান। তাই বাধ্য হয়ে তাদের মতো করে ভাড়া কাটা হয়। তাছাড়া এই ঈদে সবাই ঢাকায় যায়। কেউ আসে না। তাই একটি গাড়ি ঢাকায় গিয়ে খালি আসতে হয়। এতে খরচ বেশি পড়ে। তাই খরচ পোষানোর জন্য একটু বেশি রাখা হয়। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ঈদ, পূজা আসলেই ঢাকাগামী গাড়িগুলো কাউন্টার থেকে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। প্রশাসনের কোনো নজরদারি চোখে পড়ে না। তারা বলেন, এভাবে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকলে যাত্রীরা স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরতে পারবে।