বাংলারজমিন
কুলাউড়ায় ইউনিয়ন বিএনপি’র কাউন্সিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধান শিক্ষক
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবারমৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র কাউন্সিলে প্রার্থিতা করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সরকারি চাকরিজীবী হিসাবে শিক্ষকদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ না থাকলেও আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে তেলিবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্থানীয় বিএনপি’র এক সদস্য লিখিত অভিযোগ করেন। স্থানীয়রা জানান, আগামী ২৮শে জুন শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র কাউন্সিল হবে। এতে সভাপতি পদে শিক্ষক মো. শামছুল হক প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি চাকরির বিধিমালা লঙ্ঘন করে দলীয় সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত ২৩শে জুন শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কায়েদ মিয়া। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, সরকারি চাকরীজীবী হয়ে কোনো অবস্থাতেই দলীয় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামছুল হক বলেন, ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তবে এখন আর নির্বাচন করছি না। আইনি বাধ্যবাধকতা আছে বলে জানা নেই।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইফতেখায়ের হোসেন ভূঁঞা বলেন, সরকারি শিক্ষক হিসাবে কখনোই দলীয় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে পারেন না। এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়ে ওই শিক্ষককে সতর্ক করে দলীয় কার্যক্রম থেকে সরে আসার নির্দেশ দিয়েছি। উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর বিধি-২৫ (১)-এ বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা তাদের অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত বা অংশগ্রহণ অথবা সহযোগিতা করতে পারবেন না। বিধি-২৫ (৩)-এ বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী আইন পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রচারণা অথবা অন্য কোনোভাবে হস্তক্ষেপ বা প্রভাব প্রয়োগ অথবা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।