বিশ্বজমিন
দুই হাসপাতালে বোমা হামলা
একটিই কেন শিরোনাম হল?
পারিজাদ নোবাখত, বিবিসি
(৫ ঘন্টা আগে) ২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন

গত কয়েক দিনে বহু ইরানি নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন— দুটি প্রায় একই ধরনের ট্র্যাজেডির মধ্যে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে নজর দেওয়ার দৃষ্টিকটুভাবে অসম আচরণ নিয়ে। ইসরাইলের বীরশেবা শহরের একটি হাসপাতালে হামলার ঘটনা বিশ্বজুড়ে দ্রুত এবং বিস্তৃতভাবে সংবাদমাধ্যমে প্রচার পায়। অথচ তার তিন দিন আগেই ইরানের কেরমানশাহ শহরের একটি হাসপাতালে একই ধরনের বোমা হামলা হয়। কিন্তু তা কার্যত কারো নজরেই আসে না। এর পেছনে বড় কারণগুলোর একটি হলো— ইসরাইল সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার দেয়, বিদেশি সাংবাদিকদের দ্রুত ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়, কর্মকর্তারা ব্রিফ করেন এবং তারা স্বাধীনভাবে রিপোর্ট করতে পারেন। এর বিপরীতে ইরান সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেয়, অভ্যন্তরীণ সংবাদমাধ্যমকে সেন্সর করে এবং ইন্টারনেটেও সীমিত প্রবেশাধিকার দেয়। ফলে সাধারণ মানুষের মোবাইলে ধারণ করা অস্পষ্ট, অননুমোদিত ভিডিও ছাড়া আর কিছু সামনে আসে না। ইসরাইলে সরকার দ্রুত হতাহতের সংখ্যা জানায় এবং নিয়মিত আপডেট দেয়। ইরানে ইসরাইলি হামলার দুই দিন পর সরকার সারা দেশের জন্য একটি মোট মৃত্যুর সংখ্যা দেয়— ২২৪ জন। কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট এলাকা বা ঘটনাভিত্তিক তথ্য দেয়নি। কেরমানশাহর হাসপাতাল পরদিন আঘাতপ্রাপ্ত হলেও এরপর আর কোনো বিস্তারিত হালনাগাদ মেলেনি। গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার এবং স্বচ্ছতার অভাবে ইরানের দিকের বয়ান হারিয়ে গেছে। শোকার্ত পরিবারগুলো সামাজিক মাধ্যমে সেই শূন্যতা পূরণ করতে চেষ্টা করেছে, কিন্তু ব্যক্তিগত পোস্ট কখনোই সমন্বিত সংবাদ কাভারেজের জায়গা নিতে পারে না।