বিশ্বজমিন
‘যুক্তরাষ্ট্র যুুদ্ধে যোগ দিলে পুরো অঞ্চলে নরক ডেকে আনবে’
মানবজমিন ডেস্ক
(৬ ঘন্টা আগে) ২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৪৩ অপরাহ্ন
.jpeg)
ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে গর্জন করছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গর্জন দিচ্ছে ইরান। যুদ্ধের ময়দানে এই গর্জনটাও কিন্তু একটি কৌশল। এ জন্য ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদে বলেছেন, ইসরাইলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তা ‘পুরো অঞ্চলের জন্য নরক ডেকে আনবে’। তিনি বলেন, এটা আমেরিকার যুদ্ধ নয়। যদি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধে জড়ান, তাহলে ইতিহাসে তিনি একজন ‘অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত হবেন। খাতিবজাদে সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা এই সংঘাতকে একটি দীর্ঘস্থায়ী জঞ্জালে পরিণত করবে, আগ্রাসনকে আরও বাড়াবে এবং নৃশংসতা বন্ধের পথকে দীর্ঘায়িত করবে। এই মন্তব্য তিনি করেন এমন সময়, যখন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দক্ষিণ ইসরাইলের সোরোকা হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মূল লক্ষ্য ছিল হাসপাতালের পাশের একটি সামরিক ঘাঁটি, হাসপাতাল নয়। ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় সোরোকা মেডিকেল সেন্টারে অন্তত ৭১ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘অকার্যকর’ আরাক হেভি ওয়াটার রিয়্যাক্টর ও নাতাঞ্জ স্থাপনা। তেহরান এখনো ইসরাইলি হামলায় ইরানে কতজন হতাহত হয়েছে তা জানায়নি। এই সাম্প্রতিক হামলাগুলো একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল সময়ে ঘটছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নেবেন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই সংঘাতে অংশ নেবে কি না। বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে খাতিবজাদে জোর দিয়ে বলেন, কূটনীতি অবশ্যই আমাদের প্রথম পছন্দ। কিন্তু একই সঙ্গে বলেন, যখন আমাদের ওপর বোমাবর্ষণ চলছে, তখন কোনো আলোচনার শুরু হতে পারে না। তিনি বারবার দাবি করেন, ইরানের এই হামলাগুলো ‘জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর ধারায় আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ এবং বলেন, যখন হামলা চালানো হয় আমরা তখন কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় ছিলাম।