বিশ্বজমিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তান জটিল কূটনৈতিক ভারসাম্য
আজাদে মোশিরি, বিবিসি
(৫ ঘন্টা আগে) ২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন

পাকিস্তান বর্তমানে এক জটিল কূটনৈতিক রাস্তায় হাঁটছে।
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের বৈঠকটি মূলত একটি ‘সফল কূটনৈতিক অর্জন’ হিসেবে উপস্থাপনের কথা। ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার এক স্পষ্ট ফল হলো— যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে একপ্রকার উষ্ণ সম্পর্কের সূচনা। বাইডেন প্রশাসনের সময় ইসলামাবাদ এতটাই উপেক্ষিত ছিল যে, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি ফোনালাপ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে হোয়াইট হাউসে সেনা প্রধানের এই সফরের সময়ই ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়টি বিবেচনা করছেন— যার কড়া সমালোচনা করেছে পাকিস্তান। পাশাপাশি তিনি সমর্থন করছেন ইসরাইলকে— যার কর্মকাণ্ডকে পাকিস্তান ‘বর্বরোচিত’ বলেছে। এছাড়া পাকিস্তান ইরান থেকে প্রায় ৩,০০০ নিজ নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার একটি জটিল উদ্ধার অভিযানের মাঝপথে রয়েছে। পাকিস্তান-ইরান ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত শেয়ার করে।
বৈঠকটি দুই ঘণ্টা স্থায়ী হলেও কোনো ক্যামেরা উপস্থিত ছিল না।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে— ইরান বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে কী বলা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। ফলে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন উঠে আসে। সবচেয়ে সাহসী প্রশ্নটি ছিল— এটি ইরান-ইসরাইল ইস্যু নয় বরং ঘরোয়া রাজনীতির প্রশ্ন— বৈঠকে কি কোনো বেসামরিক পাকিস্তানি রাজনীতিক ছিলেন? এরপরই প্রশ্ন আসে, তাহলে আমরা কি সত্যিই একটি গণতান্ত্রিক দেশ? হালকা হাসির মধ্যে মুখপাত্র হাসিমুখে বলেন, পাকিস্তান একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং ফিল্ড মার্শালের বৈঠক সংক্রান্ত আরও কোনো তথ্য জানতে চাইলে বিদেশি সাংবাদিকদের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।